নেত্রীকে অনুরোধ করেছি, কর্মীদের দুঃখ দিয়ে কাউকে দলে না ফেরাতে: অভিষেক
তৃতীয়বার তৃণমূলের বঙ্গজয়ের পর থেকেই ফের দলবদলের পালা চলছে বাংলায়। বিজেপির একাধিক নেতা-নেত্রী তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। ইতিমধ্যে দলবদলও করেছেন ছ’জন বিধায়ক এবং দুই সাংসদও। তাহলে কি তৃণমূল ছেড়ে যাওয়া সমস্ত নেতা-কর্মীদের ফেরাবে নেতৃত্ব? শনিবার ভোটপ্রচারের মঞ্চ থেকে এ নিয়ে স্পষ্ট বার্তা দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)।
খড়দহের সভামঞ্চ থেকে অভিষেক বলেন, “দরজা খুলে দিলে দলটাই (বিজেপি) উঠে যাবে। কিন্তু আমরা তা করছি না। আমি দলনেত্রীর পা ধরে অনুরোধ করেছি, কর্মীদের আবেগ সবার আগে। তাদের মনে দুঃখ দিয়ে কাউকে দলে ফেরাবেন না। হ্যাঁ কয়েকজনকে দলে ফিরিয়েছি, কিন্তু এমনি-এমনি নয়। অনেক প্রায়শ্চিত্ত করিয়েই তবে তাদের দলে এনেছি। তা বলে সবাইকে আনব না। আগের তৃণমূলের সঙ্গে এখনকার তৃণমূলের (TMC) পার্থক্য আছে। সেটা বুঝতে পারছেন তো?” পাশাপাশি, তৃণমূলের ভবিষ্যতের ব্লু প্রিন্টও তুলে ধরেন অভিষেক।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের কথায়, “দল আমাকে দায়িত্ব দিয়েছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে আরও ৫ রাজ্যে সংগঠন গড়বে তৃণমূল। ১ বছরের মধ্যে ১২-১৫ রাজ্যে আমাদের ওয়ার্কিং কমিটি থাকবে। যেখানে যেখানে বিজেপি মানুষকে উপেক্ষা করেছে, মানুষকে যন্ত্রণা দিয়েছে, গণতন্ত্র কেড়ে নিয়েছে সেখানেই লড়বে তৃণমূল।” অভিষেকের চ্যালেঞ্জ, “বিজেপিকে হারাতে পারে একমাত্র তৃণমূল। ত্রিপুরায় গেছি, গোয়াতে গেছি। উত্তরপ্রদেশেও যাব।” এদিন নতুন স্লোগানও তোলেন তিনি। ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ বলছেন, “গোটা দেশ বলছে, দেশ কি নেত্রী ক্যায়সি হো, মমতা দিদি য্যায়সি হো।”
ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) অন্যান্য দলকে বিভিন্ন এজেন্সি দিয়ে ভয় দেখাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন অভিষেক। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বিজেপি এজেন্সি দিয়ে দেখাচ্ছে। আমাকে বারবার সমন পাঠাচ্ছে। কলকাতার মামলা কিন্তু দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জেরা করছে। টানা ৯ ঘণ্টা জেরা করেছে আমাকে। কিন্তু আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যোগ্য সৈনিক। ৯ হাজার ঘণ্টা জেরা করেও আমার মেরুদণ্ড ভাঙতে পারবে না ওরা।” এরপরই তাঁর কটাক্ষ, “ইডি-সিবিআই আমার কাঁচকলা করেছে।”