গোয়ায় তৃণমূলের সংগঠন বিস্তার দেখেই মোদীকে মাঠে নামাচ্ছে বিজেপি?
একেই বলে ঠেলার নাম বাবাজি! এতদিন পর ঘুম ভাঙল। বছরের-পর-বছর উন্নয়ন বিমুখ দ্বীপ রাজ্য গোয়া। ৪০ আসন বিশিষ্ট গোয়ায় নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা পায়নি বিজেপি। বরং শেষ বিধানসভা ভোটে দ্বিতীয় দল হিসেবে লড়াই শেষ করেছিল। ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছতে না পারলে একক বৃহত্তম দল হিসেবে কংগ্রেসকে নির্বাচিত করেছিল গোয়ার মানুষ। কিন্তু কেন্দ্রে বিজেপির শাসানি আর রাজ্যে নিজেদের অপদার্থতার সরকার গড়তে ব্যর্থ হয় কংগ্রেস। ঘোড়া কেনাবেচা করে দ্বীপ রাজ্য কার্যত অনৈতিকভাবে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে বিজেপি।
এহেন গোয়ায় এবার সংগঠন বিস্তার করছে বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। বছর পড়লেই ফেব্রুয়ারীতে দ্বীপ রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন। কার আগে দলে দলে ঘাসফুল শিবিরের যোগদানের হিড়িক। এরই মাঝে ২৮ অক্টোবর ৪ দিনের গোয়া সফরে যাচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সব বিরোধী দল ব্যক্তি ও সংগঠন কে একজোট হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই খবরে থরহরি কম্প অবস্থা বিজেপির।
সাগরপাড়ের চোরাবালিতে দল যে ডুবতে চলেছে তা টের পেয়ে হঠাৎ ঘুম ভাঙল নরেন্দ্র মোদীর। শনিবার তৃণমূল নেত্রী গোয়া সকলের ঘোষণার পরেই বিজেপির তরফ সে এক টুইট করে রাজ্যে ফুটবলের জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে এই ঘাসফুল শিবিরকে নিশানা করার চেষ্টা হয়েছে। দলের তরফে নরেন্দ্র মোদীর নামে এক টুইট করে বলা হয়েছে, ফুটবল নিয়ে উন্মাদনা অন্যরকম। নতুন উদ্যমে ও আত্মবিশ্বাস নিয়ে কাজ করবে গোয়া।
এখানেই শেষ নয় এদিন সেই এক ভিডিও কনফারেন্সে গোয়া নিয়ে বেশ লম্বা-চওড়া কথা বলতে শোনা যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। তার কথায় ভারতের পর্যটন শিল্পের ক্ষেত্রে প্রধানতম কেন্দ্র গোয়া। আর সেই কারণেই ভারতীয় অর্থনীতিতে এর গুরুত্ব অপরিসীম। মোদীর মতে, গোয়ায় শহরে ও গ্রামে দু ধরনের সংস্কৃতি এমনভাবে মিলে মিশে রয়েছে যে তা অর্থনীতিকে আরও
মহিলাদের জন্য কেন্দ্রের যেসব প্রকল্প রয়েছে সেগুলি ও গোয়ায় খুব ভালোভাবে কার্যকর করা গিয়েছে বলেই দাবি মোদীর। তিনি এদিন জানিয়েছেন, কীভাবে তৃণমূল স্তরে সাফল্যের নজির গড়েছে গোয়া। মোদী বলেন, নোরা পরিকাঠামোর সাহায্যে গোয়ায় কৃষক পশুপালক ও মৎস্যজীবীদের উপার্জনও বাড়ছে। তার কথায়, “এবছর গোয়ার গ্রামীণ পরিকাঠামো আধুনিকীকরণের তহবিল আগের তুলনায় পাঁচ গুণ বাড়ানো হয়েছে।”
রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, গত 10 বছর ক্ষমতায় থাকলেও গোয়ায় সেভাবে উন্নয়ন করে দেখাতে পারেনি বিজেপি। সেভাবে কংগ্রেসসহ কোন বিরোধী দল বিজেপির দিকে আঙুল তোলার সাহস দেখায়নি। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস বিধানসভা ভোটের আগে যে ভাবে নিজেদের পালে হাওয়া দিয়েছে তাতে শঙ্কিত গেরুয়া শিবির। ক্ষমতা হাতছাড়া হবার প্রবল আশঙ্কা থেকে খোদ প্রধানমন্ত্রী মোদীকে নিয়ে গোয়ায় বিজ্ঞাপন করাতে হচ্ছে বিজেপিকে।