ডিসেম্বরেই শুরু হতে পারে শিশু কিশোরদের টিকাকরণ
বাচ্চাদের দু’টি ভ্যাকসিন কোভ্যাকসিন ও জাইকোভ-ডি দেওয়া দেশে শুরু হয়ে যেতে পারে ডিসেম্বর মাসেই। এর মধ্যে কোভ্যাকসিন ২ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের জন্য এবং জাইকোভ-ডি ১২ ঊর্ধ্ব বয়সসীমার জন্য। প্রাপ্তবয়স্কদের টিকার মতোই শিশুদের কোভ্যাকসিনের নির্মাতাও ভারত বায়োটেক। অন্যদিকে, জাইকোভ-ডি তৈরি করছে নির্মাতা সংস্থা জাইডাস ক্যাডিলা। কোভ্যাকসিন প্রচলিত দুটি ডোজে দেওয়া হলেও জাইকোভ দেওয়া হবে তিনটি ডোজে। প্রাপ্তবয়স্কদের মতো এক্ষেত্রেও প্রথমটি নেওয়ার চার থেকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজের কোভ্যাকসিন টিকা নিতে হবে বাচ্চাদের। অপরদিকে, জাইকোভ-ডি’র তিনটি ডোজ দিতে হবে যথাক্রমে শূন্য, ২৮ ও ৫৬ দিনে।
ওষুধ শিল্প মহল সূত্রের খবর, দু’টি ভ্যাকসিন কেন্দ্রীয় সরকার সর্বনিম্ন কত দামে কিনবে, তা নিয়ে এখন সরকার ও নির্মাতা সংস্থা দুটির মধ্যে কথাবার্তা চলছে। কর্পোরেট হাসপাতালগুলি থেকে প্রতিটি ডোজ জাইকোভ-ডি ১৯০০ টাকায় এবং কোভ্যাকসিন ১৫০০ টাকার বিক্রি করতে ইতিমধ্যেই সরকারের কাছে প্রস্তাব এসেছে। আর কেন্দ্রীয় সরকারি বণ্টন ব্যবস্থায় রাজ্যগুলির মাধ্যমে ‘মাস ভ্যাকসিনেশন’-এর জন্য ডোজ প্রতি ১৫০-১৬০ টাকায় টিকা সরবরাহ করা হবে বলে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বাচ্চাদের অবশ্য সরকারি ব্যবস্থাপনায় টিকা দিতে কোনও টাকা দিতে হবে না।
জানা যাচ্ছে, শূন্য থেকে ১৮ বছর বয়সের শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে কোন বয়সসীমার বাচ্চা কোন টিকা পাবে, তা নিয়েও জোরদার আলোচনা চলছে। যেমন ২ থেকে ১৮ বয়সসীমায় কোভ্যাকসিন এবং ১২ ঊর্ধ্ব কিশোর-কিশোরীদের জাইকোভ-ডি দেওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
কিন্তু কেনই বা জাইকোভের প্রতিটি ডোজের দাম ১৯০০ টাকার মতো বেশ চড়া হেঁকেছে জাইডাস ক্যাডিলা? কোম্পানি সূত্রের দাবি, কারণ, সূঁচহীন এক ধরনের ইনজেকটরের মাধ্যমে জাইকোভ-ডি দেওয়া হয়। এক-একটি ইনজেকটরের দামই ৩০ হাজার টাকা। যদিও এর পাল্টা মত হল, একটি ইনজেকটর দিয়ে তো ২০ হাজার ডোজ টিকাও দেওয়া যায়। সেটাও কোম্পানির মাথায় রাখা উচিত।
সূত্রের খবর, শূন্য থেকে ১৮—এই বয়সের শিশু-কিশোরের সংখ্যা দেশের মোট জনসংখ্যার কমবেশি ৩০ শতাংশ। দেশের জনসংখ্যা এখন প্রায় ১৩৯ কোটি। সেই হিসেবে প্রায় ৪০ কোটি শিশু ও কিশোরকে ছোটদের ভ্যাকসিন দিতে হবে। সেক্ষেত্রে প্রায় ১০০ কোটি ডোজ টিকা দিতে হবে শুধুমাত্র ছোটদেরই।