সৌর আলোয় মুড়ে ফেলা হল সোনারপুরের কিছু পঞ্চায়েত এলাকাকে

আলো লাগানোর জন্য যে টাকা দরকার, তার জন্য তাঁরা সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর দ্বারস্থ হন।

October 24, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

সৌর আলোয় মুড়ে ফেলা হল সোনারপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাকে। অলিগলি থেকে মূল রাস্তা— সবই এখন সৌর আলোয় ঝলমল করছে। সাংসদ তহবিলের ৩৩ লক্ষ টাকা খরচ করে এই কাজ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পঞ্চায়েতের প্রধান সীমালতা ঘোষ। ভবিষ্যতে আরও এমন আলো বসানো হবে বলে ভাবনাচিন্তা করছে পঞ্চায়েত।এই পঞ্চায়েতের অধীনে রয়েছে ১৮টি গ্রাম সংসদ। সব জায়গায় এই সৌর আলোর খুঁটি বসানো হয়েছে। সব মিলিয়ে ২০টি খুঁটি লাগানো হয়েছে। প্রতিটিতে চারটি করে আলো রয়েছে। এর ফলে অনেকটা এলাকা আলোকিত হচ্ছে।কেন এই উদ্যোগ? প্রধান বলেন, কিছু জায়গায় বিদ্যুতের সমস্যা রয়েছে। যখন তখন লোডশেডিং হয় এবং তা আসতে অনেক সময় লাগে।

তাছাড়া বেশ কিছু এলাকা এবং বাজার চত্বর সন্ধ্যার পর অন্ধকারে ডুবে থাকে। সেইসব জায়গায় এই আলো বসানো হয়েছে। এর রক্ষণাবেক্ষণ করতে অসুবিধা যেমন হবে না, তেমনই বিদ্যুতের অতিরিক্ত খরচও চাপবে না পঞ্চায়েতের ঘাড়ে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আলো লাগানোয় রামপুর, লালপোল, বিদ্যানগর বাজার, মথুরাপুর ভ্যান স্ট্যান্ড, স্বাস্থ্য কেন্দ্র ইত্যাদি জায়গা বিশেষভাবে উপকৃত হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, কিছু কিছু এলাকায় আলো না থাকায় রাতে অসামাজিক কার্যকলাপ চলত। জুয়া, মদের আসর বসত। সেইসব রাস্তা দিয়ে সন্ধ্যার পর চলাফেরা করাই দায় ছিল। এছাড়াও বর্ষায় জল জমলে সাপের উপদ্রব দেখা দেয়। সন্ধ্যার পর বাড়ির বাইরে বেরতে ভয় পান অনেকেই। 


এসবের জন্যই রাস্তায় আলো লাগানোর দাবি উঠেছিল। বিষয়টি পঞ্চায়েতের নজরে আসার পর নড়েচড়ে বসেন সদস্যরা। আলো লাগানোর জন্য যে টাকা দরকার, তার জন্য তাঁরা সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর দ্বারস্থ হন। গোটা পরিকল্পনার কথা জানানো হয় তাঁকে। এরপর ওই টাকা বরাদ্দ করা হয়। পঞ্চায়েতের এই উদ্যোগে খুশি এলাকার মানুষ। তাঁদের বক্তব্য, বহুদিন ধরেই আলো লাগানোর দাবি জানানো হচ্ছিল। সন্ধ্যার পর বাড়ি থেকে বেরতে ভয় লাগত। এখন সেই সমস্যা হবে না।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen