টার্গেট গোয়া, ‘মমতা’ অস্ত্রেই জাতীয় স্তরে শাখা বিস্তারের ছক তৃণমূলের
পশ্চিমবঙ্গে হ্যাটট্রিক করার পর থেকেই জাতীয় স্তরে শাখা প্রশাখা ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টায় লেগে পড়েছে ঘাসফুল শিবির। প্রথমেই বাঙালি অধ্যুষিত ত্রিপুরার উপর নজর পড়েছিল তৃণমূলের। তারপর উত্তর-পূর্বের বিভিন্ন রাজ্যে নিজেদের উপস্থিতির জানান দেওয়ার ছক কষতে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেস। এরই মাঝে গোয়াতেও নজর দেয় তৃণমূল। আর এই গোয়াতেই আগাম সপ্তাহে পা রাখতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার বাইরে যত রাজ্যে তৃণমূল নিজেদের বীজ বপণ করেছে, সেগুলির মধ্যে গোয়াই প্রথম রাজ্যে যেখানে যেতে চলেছেন মমতা।
২০২৪ সালে জাতীয় রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠতে ও বিজেপিকে ঠেকাতে বড় মুখ হয়ে উঠেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই আবহে কংগ্রেস ভেঙেই নিজের দল শক্ত করছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেই ছকে গোয়ায় কংগ্রেস থেকে লুইজিনহো ফালেইরোকে নিজের দলে নেন মমতা। উল্লেখ্য, গোয়ার দুই বারের মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফালেইরো। তাছাড়া প্রসাদ গোয়ানকরও যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে।
এর আগে দলটি অসম বা অরুণাচলপ্রদেশের মতো বিভিন্ন রাজ্যে একটি বা দুটি আসন জেতার জন্য লড়ছিল। তবে অভিষেক দলের সাধার সম্পাদক হতেই জানিয়ে দিয়েছিলেন যে তৃণমূল এখন যে রাজ্যে পা রাখবে, সেখানেই সরকার গঠনের চেষ্টা করবে।
তৃণমূল ইতিমধ্যেই দলের ক্যাথলিক মুখ ডেরেক ও’ব্রায়েনকে পাঠিয়েছে গোয়ায়। তিনি রাজ্যে প্রায় দুই সপ্তাহ কাটিয়েছেন। গোয়ার রাজধানী পাঞ্জিমে একটি অফিসও খুলেছে তৃণমূল। পাশাপাশি গ্রামীণ এলাকায় দলের বার্তা পৌঁছে দিতে আরও একটি অফিস ভাড়া নিয়েছে। এই রাজ্যে নির্দলদের সঙ্গে জোট করার বদলে দীর্ঘমেয়াদী খেলোয়াড়ের খোঁজে তৃণমূল। এদিকে গোয়ার হিন্দু ভোটারদের মন জয় করতে গোয়া ফরোয়ার্ড পার্টির সঙ্গে জোটের কথা চললেও আম আদমি পার্টি থেকে দূরে থাকতে চাইছে তৃণমূল। আগে যেখানে তৃণমূল সর্বভারতীয় দলের তকমার জন্যে বিভিন্ন রাজ্যে লড়ত, এখন সেই দলই বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ জানাতে ছক কষছে।