কার সাথ ফোনে কথা বলালেন আরিয়ানকে? ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই এনসিবির বিরুদ্ধে সরব সঞ্জয় রাউত

মহারাষ্ট্রের শাসক দলের সদস্যের এই টুইটের ঘণ্টা কয়েক আগেই কিরণের সহযোগী প্রভাকর সেইল দাবি করেছেন, তদন্তকারী সংস্থা তাঁকে ফাঁকা পঞ্চনামায় সই করিয়েছে। সমীর ওয়াংখেড়়েকে নিয়ে তিনি আতঙ্কিত বলেও জানিয়েছেন প্রভাকর

October 24, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)-র দপ্তরে আরিয়ান খানের পাশে বসা। নিজের ফোনে কারও সঙ্গে কথা বলালেন তাঁকে। পলাতক সাক্ষী কিরণ পি গোসাভির এমন একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই টুইটারে প্রতিবাদ জানালেন শিব সেনার সাংসদ সঞ্জয় রাউত। মহারাষ্ট্রের শাসক দলের সদস্যের এই টুইটের ঘণ্টা কয়েক আগেই কিরণের সহযোগী প্রভাকর সেইল দাবি করেছেন, তদন্তকারী সংস্থা তাঁকে ফাঁকা পঞ্চনামায় সই করিয়েছে। সমীর ওয়াংখেড়়েকে নিয়ে তিনি আতঙ্কিত বলেও জানিয়েছেন প্রভাকর।

নতুন ভিডিয়োটি টুইট করে রাউত লিখেছেন, ‘আরিয়ান-কাণ্ডে এনসিবি প্রভাকর সেইলকে ফাঁকা পঞ্চনামায় সই করিয়েছে শুনে চমকে উঠেছি। আরও দাবি উঠেছে যে, সাক্ষ্যের বিনিময়ে বহুল পরিমাণ টাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধ্বব ঠাকরে বলেছিলেন, মহারাষ্ট্রের ভাবমূর্তি নষ্ট করার উদ্দেশ্যে এ সমস্ত কিছু ঘটানো হচ্ছে। এখন তো মনে হচ্ছে, সেই মন্তব্যই সত্যি হতে চলেছে। সুয়ো মোটো মামলা দায়ের করা উচিত পুলিশের।’

আরিয়ানের গ্রেপ্তার হওয়ার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই একটি ছবি ছড়িয়ে পড়েছিল চার দিকে। তাঁর সঙ্গে নিজস্বী তুলতে দেখা গিয়েছিল এক ব্যক্তিকে। তিনিই কিরণ পি গোসাভি। প্রথমে মনে করা হয়েছিল কিরণ এনসিবি-র কোনও এক আধিকারিক। অনেকেই সে সময়ে প্রশ্ন তোলেন কিরণের ওই নিজস্বী নিয়ে। পরে এনসিবি-কে বিবৃতি দিয়ে জানাতে হয়, কিরণ তাদের কেউ নন। শুধু তা-ই নয়, কিরণকে এই মামলার অন্যতম সাক্ষী হিসেবে তুলে ধরে তাঁর খোঁজ চালায় এনসিবি। কিরণ নিজে ওই ঘটনার পর থেকেই পলাতক।


প্রভাকরের দাবি, কিরণ ‘রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ’ হয়ে যাওয়ার পর থেকেই তিনিও আতঙ্কিত। সমীর ওয়াংখেড়ের থেকে বিপদের আশঙ্কা করছেন। এমনকি তাঁর নিজের জীবনেরও ঝুঁকি রয়েছে বলেও দাবি প্রভাকরের। কিরণ পি গোসাভির দেহরক্ষী হিসেবে নিজের পরিচয় দিয়ে প্রভাকরের দাবি— শাহরুখ-পুত্রের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে ১৮ কোটি টাকার চু্ক্তি হয়েছে বলে শুনেছেন তিনি।

এনসিবি-র প্রশ্ন— তা-ই যদি হয়, তা হলে এত দিন আরিয়ান জেলে বন্দি থাকেন কী করে? তা ছাড়া, তাঁদের দপ্তরে একাধিক নজরদার ক্যামেরা রয়েছে বলে জানিয়েছেন আধিকাকরিকরা। তাই এই অভিযোগ ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে এনসিবি।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen