টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ: বাংলাদেশকে ৫ উইকেটে হারিয়ে অভিযান শুরু শ্রীলঙ্কার
বাংলাদেশকে প্রথম ম্যাচে হারিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করল শ্রীলঙ্কা। প্রথমে ব্যাট করে বড় রান তুললেও খারাপ বোলিং ও ক্যাচ ফসকানোর খেসারত দিতে হল তাদের। সেই সঙ্গে প্রশ্ন উঠল অধিনায়ক মাহমুদুল্লার অধিনায়কত্ব নিয়ে। ছন্দে থাকা শাকিব আল হাসানের ওভার বাকি থাকার পরেও তিনি বলে আনেন তরুণ সইফুদ্দিনকে। তাঁর এক ওভারে ২২ রান এল। তাতে বদলে গেল ম্যাচের ছবি। শ্রীলঙ্কার জয়ে প্রধান ভূমিকা নিলেন চারিথ আসালঙ্কা ও ভানুকা রাজাপক্ষে। তাঁদের অর্ধশতরানে বাংলাদেশকে ৫ উইকেটে হারাল শ্রীলঙ্কা।
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল করেছিলেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার মহম্মদ নইম ও লিটন দাস। পাওয়ার প্লেতে শ্রীলঙ্কার বোলারদের ধরে খেলছিলেন তাঁরা। কিন্তু ষষ্ঠ ওভারে ছন্দপতন। এগিয়ে এসে লাহিরু কুমারার বলে মিড অফের উপর দিয়ে চার মারতে গিয়ে আউট হন লিটন। তার পরেই লাহিরুর সঙ্গে ঝামেলায় জড়ান লিটন। তিনে নামা শাকিবও তাড়াতাড়ি সাজঘরে ফেরেন।
দু’উইকেট পড়ার পরে বাংলাদেশের ইনিংস সামলান নইম ও চারে নামা অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। মাঝেমধ্যেই বড় শট খেলছিলেন তাঁরা। ফলে দ্রুত রান উঠছিল। যথেষ্ট সাবলীল দেখাল তরুণ নইমকে। নিজের প্রথম বিশ্বকাপ ম্যাচেই অর্ধশতরান করলেন তিনি। অন্য দিতে হাত খোলা শুরু করেন রহিমও।
ব্যক্তিগত ৬২ রানের মাথায় বিনুরা ফার্নান্ডোর বলে আউট হন নইম। তার পরে প্রথমে আফিফ হুসেন ও পরে অধিনায়ক মাহমুদুল্লার সঙ্গে জুটি বাঁধেন রহিম। মাত্র ৩২ বলে অর্ধশতরান করেন তিনি। শেষ বলে চার মেরে দলের রান চার উইকেটে ১৭১ পর্যন্ত নিয়ে যান রহিম। ৫৭ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই কুশল পেরেরার উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। যদিও তার পরে খেলা ধরেন পথুম নিশাঙ্ক ও চারিথ আসালঙ্কা। বেশি আগ্রাসী দেখাচ্ছিল আসালঙ্কাকে। বাংলাদেশের স্পিনারদের বিরুদ্ধে দ্রুত রান তুলছিলেন তিনি। এক সময় মনে হচ্ছিল সহজেই রান তাড়া করে নেবে শ্রীলঙ্কা। কিন্তু তখনই খেলার ছবি বদলে দেন বাংলাদেশের সবথেকে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার শাকিব আল হাসান।
প্রথম ওভারেই নিশাঙ্ক ও আবিষ্কা ফার্নান্ডোকে আউট করেন শাকিব। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবথেকে বেশি উইকেটের মালিক হলেন শাকিব। ভেঙে দিলেন পাকিস্তানের শাহিদ আফ্রিদির রেকর্ড। বেশি ক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি হাসারাঙ্গাও। তাঁকে ফেরান মহম্মদ সইফুদ্দিন।
চার উইকেট পড়ার পরে রানের গতি কিছুটা কমে শ্রীলঙ্কার। তেরো নম্বর ওভারে বল করতে আসেন আফিফ। সেই ওভারে ১৫ রান তোলে শ্রীলঙ্কা। ৩২ বলে অর্ধশতরান করেন আসালাঙ্কা। তার পরে সইফুদ্দিনের এক ওভারে ২২ রান আসে। অর্ধশতরান করেন রাজাপক্ষেও। ৩১ বলে ৫৩ করে আউট হন তিনি। যদিও তাতে জিততে কোনও সমস্যা হয়নি। সাত বল বাকি থাকতে জিতে যায় শ্রীলঙ্কা। ৮০ রান করে অপরাজিত থাকেন আসালঙ্কা।