লকডাউনে সুগার রোগীরা কী করবেন
টাইপ-২ ডায়াবেটিস লাইফস্টাইল ডিজিজ। অর্থাৎ অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা এই অসুখের অন্যতম কারণ। তাই সুস্থ স্বাভাবিক জীবনযাত্রাই পারে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের মতো অসুখকে অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে রাখতে। সুস্থ জীবনযাত্রার দুটি প্রধান শর্ত রয়েছে। ক) শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী ক্যালরি মেপে খাওয়া। খ) নিয়মিত এক্সারসাইজ বা ব্যায়াম করা।
টাইপ-২ ডায়াবেটিস লাইফস্টাইল ডিজিজ। অর্থাৎ অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা এই অসুখের অন্যতম কারণ। তাই সুস্থ স্বাভাবিক জীবনযাত্রাই পারে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের মতো অসুখকে অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে রাখতে। সুস্থ জীবনযাত্রার দুটি প্রধান শর্ত রয়েছে। ক) শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী ক্যালরি মেপে খাওয়া। খ) নিয়মিত এক্সারসাইজ বা ব্যায়াম করা।
লকডাউন টানা চললে এই দু’টি ক্ষেত্রেই বড়সড় গোলযোগ দেখা দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া লকডাউন উঠলেও যে হুড়মুড় করে বাইরে বেরনো যাবে এমন নয়। তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে হলে কিছু নিয়ম মেনে চলা দরকার।
ডায়েটের নিয়ম
লকডাউন হচ্ছে বলে আলাদা করে কোনও বিশেষ কোনও খাবার খাওয়ার দরকার নেই। দৈহিক উচ্চতা অনুযায়ী শারীরিক ওজন ঠিক থাকলে যেমন আগে ভাত, রুটি, সব্জি, মাছ (অর্থাৎ সুষম খাবার) খাচ্ছিলেন তেমনই খান।
তাছাড়া, লকডাউনেও বাজার খোলা থাকছে। অতএব সব্জি এবং ফল পেতে তেমন কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। সুতরাং ব্রেকফাস্ট-লাঞ্চ – ডিনারে সব্জি বাদ দেবেন না। প্রতিদিন একটি করে ফল খান। তবে খাদ্যগ্রহণের সঙ্গে দরকার নিয়মিত এক্সারসাইজ করা।

এক্সারসাইজ
যাদের বাড়িতে হাঁটার উপযোগী ছাদ বা উঠোন আছে তাঁরা সেখানেই হাঁটুন । তা না হলে হাঁটার সমস্যা হতে পারে ঠিকই, তবে ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ তো করাই যায়। বাড়িতে কোনও একটা জায়গায় দাঁড়িয়ে ছোটবেলায় স্কুলে ফিজিক্যাল ট্রেনিং (পিটি) করার মতো এক্সারসাইজ করতে পারেন।
যাদের হাঁটুতে সমস্যা আছে তারা দেহের ওপরের অংশের ব্যায়াম করতে পারেন। মনে রাখবেন, সব মিলিয়ে ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট এক্সারসাইজ করলে ভালো হয়। সকাল এবং বিকেল— দু’বেলা সময় ভাগ করে এক্সারসাইজ করলেও চলবে।
এখানেই শেষ নয়। এখন তো সব বাড়ির সব কাজই পরিবারের সদস্যদের করতে হচ্ছে। তাই ডায়াবেটিকরাও পরিবারের অন্য সদস্যের সঙ্গে ঘরের কাজ ভাগ করে নিতে পারেন। ঘরের কাজ করেও শরীর ফিট রাখা যায়।
দুশ্চিন্তা কমান: শুধু ডায়েট আর এক্সারসাইজ করলেই চলবে না। দুশ্চিন্তা কমাতে হবে। দেখা গিয়েছে, খুব দুশ্চিন্তা হলে শরীরে বেশ কিছু হর্মোন বেরয় যা রক্তে সুগারের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। অতএব দুশ্চিন্তার সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য প্রতিদিন অন্তত ১০ মিনিট ধ্যান করুন। দুশ্চিন্তার সঙ্গে মোকাবিলা করতে পারবেন সহজে।
ওষুধ ও অন্যান্য শারীরিক সমস্যা: রক্তে সুগারের মাত্রা যদি ঠিক থাকে, ওষুধ যেমন খাচ্ছিলেন তেমন খেয়ে যান। ওষুধ নিয়ে কোনওরকম প্রশ্ন থাকলে আপনার চিকিৎসককে ফোন করতে পারেন। তিনিই বলে দেবেন কী করতে হবে।
সুগার টেস্ট: এখন সুগার মাপার যন্ত্র কিনতে পাওয়া যায়। সম্ভব হলে সেই যন্ত্রের সাহায্যে নিয়মিত রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা দেখে একটা কাগজে লিখে রাখুন।
মনে রাখবেন, কোভিড ১৯ দূর হবে একসময়। এখন ঘরে বসেই লড়াইটা করতে হবে। আর ততদিন ফিট থাকতেই হবে। তাই এই কদিন একটু ধৈর্য ধরে নিয়ম মেনে চলুন। সুস্থ থাকুন।