কেন্দ্রের দাবী ভুল? জুলাইয়ের তুলনায় আগস্টে কমল ইপিফে অন্তর্ভুক্তির সংখ্যা
কেন্দ্রের মোদী সরকারের কর্মসংস্থানের দাবিতে ফের ধাক্কা। জুলাই মাসের তুলনায় আগস্টে কমে গেল কর্মচারী প্রভিডেন্ট ফান্ডে (ইপিএফ) নতুন গ্রাহক অন্তর্ভুক্তির সংখ্যা। একই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে কর্মচারী রাজ্য বিমা নিগমের (ইএসআইসি) ক্ষেত্রেও। সোমবার এই সংক্রান্ত নয়া রিপোর্ট প্রকাশ করেছে পরিসংখ্যানমন্ত্রক। আর তাতেই স্পষ্ট হয়েছে এই ছবি। উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড সহ পাঁচটি রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ বিধানসভা নির্বাচনের আগে এহেন পরিসংখ্যানে রীতিমতো চাপে পড়ে গিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এদিন পরিসংখ্যানমন্ত্রক যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে গত জুলাই মাসে সারা দেশে ইপিএফে মোট ৯ লক্ষ ৫৩ হাজার ১৯৮ জন নতুন গ্রাহক নাম লিখিয়েছেন। অথচ তার পরের মাসেই, আগস্টে এই সংখ্যাটি কমে হয়েছে ৯ লক্ষ ১৮ হাজার ৮৭১ জন। যাকে যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে তথ্যাভিজ্ঞ মহল। কর্মচারী রাজ্য বিমা নিগমের ক্ষেত্রেও পরিস্থিতি প্রায় একই রকম।
সোমবার সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের প্রকাশিত রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, গত জুলাই মাসে ইএসআইয়ের আওতায় এসেছেন মোট ১৩ লক্ষ ৩৩ হাজার ৫৮৪ জন নতুন গ্রাহক। কিন্তু চলতি বছরের আগস্ট মাসে সেই সংখ্যাটি কমে হয়েছে ১৩ লক্ষ ২২ হাজার ৫৩০ জন। সারা দেশের যেসব প্রতিষ্ঠানে ন্যূনতম ১০ জন শ্রমিক-কর্মচারী থাকেন, সেই সংস্থাগুলি ইএসআইয়ের আওতাভুক্ত হয়। কর্মীদের মধ্যে যিনি মাসে সর্বোচ্চ ২১ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন পান, তিনি বাধ্যতামূলকভাবে সরকারি স্বাস্থ্যবিমা পরিষেবা ইএসআইয়ের অধীনে থাকেন। অন্যদিকে, ইপিএফওর আওতায় থাকতে হলে দেশের কোনও সংস্থা-প্রতিষ্ঠানের কর্মী সংখ্যা অন্তত ২০ জন হতেই হবে। এক্ষেত্রে মাসে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতনধারীরা বাধ্যতামূলকভাবেই ইপিএফ পরিষেবা পান। ফলে ইপিএফের গ্রাহক সংখ্যা হ্রাসবৃদ্ধির সঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই কর্মসংস্থান সম্পর্কিত। পরিসংখ্যানমন্ত্রকের রিপোর্ট থেকে এটিও স্পষ্ট হয়েছে, ২০১৮-১৯, ২০১৯-২০ এবং ২০২০-২১ আর্থিক বছরে ইপিএফে নতুন গ্রাহক অন্তর্ভুক্তির সংখ্যা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পেয়েছে। তবে সরকারি সূত্রের দাবি, ২০২০-২১ আর্থিক বছরে করোনার কারণে গ্রাহক সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। ইএসআইয়ের ক্ষেত্রে অবশ্য ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের তুলনায় ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে নতুন গ্রাহক অন্তর্ভুক্তির সংখ্যা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে ২০২০-২১ আর্থিক বছরে তা লক্ষ্যণীয়ভাবে হ্রাস পেয়েছে ইএসআইয়ের ক্ষেত্রেও।