প্রশাসনিক বৈঠকে দার্জিলিংয়ে বিপুল কর্মসংস্থানের হদিশ দিলেন মমতা
তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরই কর্মসংস্থান বাড়ানোর দিকে জোর দিয়েছে তৃণমূল সরকার। মঙ্গলবার কাশিয়াংয়ের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে কর্মসংস্থান বাড়ানোর কথাই বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। হদিশ দিলেন দার্জিলিংয়ে থাকা ‘সোনার খনি’র। কীভাবে তা কাজে লাগাতে হবে, এদিনের বৈঠকেই তা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেন মুখ্যমমন্ত্রী।
মঙ্গলবার প্রশাসনিক বৈঠক থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা কর্মসংস্থান নিয়ে আলোচনা করি। কিন্তু আমাদের সামনে থাকা জিনিসগুলোকে কীভাবে কাজে লাগানো যায়, সে বিষয়ে আমরা ওয়াকিবহল নই। দার্জিলিংয়ে পাহাড়ের গায়ে যে গাছ থাকে, সেগুলির পাতা যদি রপ্তানি করা যায়, তা অত্যন্ত লাভজনক। সেই সঙ্গে রয়েছে প্রচুর কর্মসংস্থানের সুযোগ।” এই পাতা রপ্তানির সুযোগকেই সোনার খনির সঙ্গে তুলনা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরামর্শ দিয়েছেন, সঠিকভাবে কাজে লাগানোর।
এর পাশাপাশি এদিন ঝরনার জল ব্যবহার করে পাহাড়ে ওয়াটার বটলিং প্ল্যান্টের তৈরির পরামর্শও দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলা ডেয়ারি থেকে দুগ্ধজাত দ্রব্য বিক্রির কথা বলেন। যার ফলে বাড়বে কাজের সুযোগ। আশ্বাস দেন সকলের পাশে থাকার। পাহাড়ি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, “আপনারা বিনিয়োগ করুন, আমরা সহযোগিতা করব।” এছাড়া পাহাড়ের পর্যটন শিল্পে জোর দেওয়ার কথাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাহাড়ের ছেলেমেয়েদের স্কিল ডেভলপমেন্টে জোর দেওয়ার কথা বলেন। অর্থাৎ বলাই যায়, কর্মসংস্থান হোক কিংবা উন্নয়ন, পাহাড় নিয়ে বিশেষভাবে ভাবছে রাজ্য।
উল্লেখ্য, একাধিক কর্মসূচি নিয়ে ২৪ অক্টোবর উত্তরবঙ্গ গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার শিলিগুড়িতে প্রশাসনিক বৈঠক করেছিলেন তিনি। মঙ্গলবার কার্শিয়াংয়ে বৈঠক করলেন। এই উত্তরবঙ্গ সফরে জলপাইগুড়ি ও দার্জিলিংয়ের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। উত্তরবঙ্গ থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গোয়া সফরে যাবেন বলে খবর।