এখনও সঙ্কটমুক্ত নন বর্ষীয়ান মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়
মাস পাঁচেক আগেই পঞ্চায়েত মন্ত্রীকে চিকিৎসকেরা অ্যাঞ্জিওগ্রাফি করানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন বলে এসএসকেএম সূত্রে খবর। গত সোমবার সকালে তাঁর অ্যাঞ্জিওগ্রাফি হওয়ার কথা ছিল। সে দিনই ভোরে প্রবল শ্বাসকষ্টের পাশাপাশি হৃদরোগের উপসর্গ নিয়ে এসএসকেএমে ভর্তি হন সুব্রতবাবু।
এসএসকেএম সূত্রের খবর, এখন সোমবারের তুলনায় মন্ত্রীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তবে মাঝেমধ্যেই তাঁকে বাইপ্যাপে রাখতে হচ্ছে। সেই সঙ্গে রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখার চিকিৎসাও চলছে। তবে স্বাভাবিক খাবার খাচ্ছেন তিনি। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, জ্ঞানও রয়েছে মন্ত্রীর। আগামী কয়েকদিন তাঁকে কার্ডিওলজির আইসিইউ বিভাগে পর্যবেক্ষণে রাখার কথা ভেবেছেন মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্য চিকিৎসকেরা। এসএসকেএম সূত্রের খবর, সব ঠিক থাকলে কয়েকদিন পরে মন্ত্রীর অ্যাঞ্জিওগ্রাফি করা হবে।
সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবিটিসের পাশাপাশি সিওপিডির সমস্যা রয়েছে। রবিবার হঠাৎই নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা হয় সুব্রতবাবুর। এরপরই কোনও রকম ঝুঁকি না নিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাঁকে। রবিবার উডবার্নে ভর্তি হন রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। এসএসকেএম হাসপাতালের এমএসভিপি পীযুশ রায় জানান, মন্ত্রীর হার্টের সমস্যা ছিল। সঙ্গে সিওপিডি, সুগার।
সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের শারীরিক পরিস্থিতির পর্যবেক্ষণে একটি মেডিক্যাল বোর্ডও তৈরি করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। সেই বোর্ডের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তিনি। ছয় সদস্যর মেডিক্যাল বোর্ডে কার্ডিওলজির বিভাগীয় প্রধান সরোজ মণ্ডল রয়েছেন। সঙ্গে সিসিইউ স্পেশালিস্ট, মেডিসিন, রেসপিরেটরি মেডিসিন, এন্ডোক্রিনোলজি, নেফ্রোলজির বিশেষজ্ঞ নিয়ে বোর্ড। সকলেই সকালে দেখেছেন। সেই অনুযায়ী চিকিৎসা শুরু হয়েছে। বিকেলেও তাঁরা প্রত্যেকেই রিভিউ করেন। সেই মতোই ওষুধ ও অন্যান্য চিকিৎসা চলছে।
এসএসকেএম সূত্রে জানা গিয়েছে, ছয় সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ডে কার্ডিওলজির সরোজ মণ্ডল ছাড়াও রয়েছেন সিসিইউ স্পেশালিস্ট অসীম কুণ্ডু, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ সৌমিত্র ঘোষ, রেসপিরেটরি মেডিসিন স্পেশালিস্ট সোমনাথ কুণ্ডু, এন্ডোক্রিনোলজি স্পেশালিস্ট সুজয় ঘোষ এবং নেফ্রোলজি স্পেশালিস্ট অর্পিতা রায় চৌধুরী। সঙ্গে সিসিইউ স্পেশালিস্ট, মেডিসিন, রেসপিরেটরি মেডিসিন, এন্ডোক্রিনোলজি, নেফ্রোলজির বিশেষজ্ঞ নিয়ে বোর্ড।
এমএসভিপি পীযুশ রায় বলেন, “মেডিক্যাল বোর্ডের বক্তব্য অনুযায়ী এখনও সুব্রত মুখোপাধ্যায় বিপদমুক্ত নন। স্থিতিশীল বলা যাবে না। তবে চেষ্টা করা হচ্ছে সব সময় পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। আমরা চাইব উনি যেন খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠেন। ওনার শরীরের সমস্ত প্যারামিটার পর্যবেক্ষণে সব সময়ই মেডিক্যাল বোর্ড রয়েছে।”
গত মে মাসে বর্ষীয়ান এই তৃণমূল নেতা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। প্রবল শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ায় উডবার্নে ভর্তি করানো হয়েছিল তাঁকে। চিকিত্সকদের পরামর্শে বেশ কিছু দিন বিশ্রামে ছিলেন তিনি। সে সময়ই চিকিত্সকরা তাঁকে অ্যাঞ্জিওগ্রাফি করানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন।