পেগাসাস কাণ্ডে ধরা পড়ে গিয়েছে বিজেপি: তৃণমূল
পেগাসাস কাণ্ডে ধরা পড়ে গিয়েছে বিজেপি। এদিন গোয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের সাংবাদিক বৈঠক থেকে চড়া সুরে বিজেপিকে বিঁধলেন ডেরেক ও’ব্রায়েন। তিনি বলেন, বর্ষাকালীন অধিবেশনে পেগাসাস কাণ্ডের কথা সংসদে তুলতেই দেয়নি বিজেপি। কিন্তু আজ কী হল! সত্যিটা আজ সবার কাছে প্রমাণিত হয়ে গেল। সুপ্রিম কোর্টের কথায় বিজেপি ধরা পড়ে গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, পেগাসাস কাণ্ডে (Pegasus Spyware Case) কেন্দ্রের জবাব সন্তোষজনক নয় বলে স্পষ্ট জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে নিরপেক্ষ কমিটি দিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। ৮ সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালত সূত্রে খবর, এদিন শুনানিতে কেন্দ্রকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি।
পাশাপাশি, এদিন সাংবাদিক বৈঠকে গোয়ায় তৃণমূলের পোস্টার, হোর্ডিং ছিঁড়ে ফেলার ঘটনায় বিজেপিকে কাঠগড়ায় তোলেন ডেরেক। উত্তরবঙ্গ সফর সেরেই গোয়ায় যাওয়ার কথা তৃণমূল নেত্রী। তার আগেই তৃণমূল কংগ্রেসের প্রচার হোর্ডিং-পোস্টার ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে।
কড়া ভাষায় যার সমালোচনা করে ডেরেক বলেন, স্থানীয় ব্যবসাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে বিজেপি। কারণ নষ্ট হয়ে যাওয়া ওই হোর্ডিংগুলোর জন্য নিজেদের পকেট থেকে গচ্ছা দিতে হবে ভেন্ডরদের। বিজেপির উদ্দেশে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে ডেরেক আরও বলেন, লড়াই করতে হলে, রাজনৈতিকভাবে লড়াই হোক। কেন পিপলস্ চার্জশিটের জবাব দিচ্ছে না বিজেপি?
পাশাপাশি, বিজেপি গোয়ার সংস্কৃতির অবমাননা করেছে বলেও তোপ দাগেন তিনি। বলেন, দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রীকে অপমান করা হয়েছে। এটা গোয়ার সংস্কৃতি নয়। ওদিকে বিজেপি নিজের ব্যবহারে বিন্দুমাত্র লজ্জিত নয়, বরং গর্বিত! পাশাপাশি, যতীশ নায়েক তোপ দাগেন, “বিজেপি অসহিষ্ণু ব্যবহার করছে। সরকারের কোনও কিছুর কোনও হিসেব নেই। সেকারণেই বিজেপি নিযুক্ত রাজ্যপাল সত্য পাল মালিকও বলেছেন যে, সবেতেই বিজেপি সরকার দুর্নীতিতে জড়িয়ে।”
উল্লেখ্য, ২০২২-এর বিধানসভা নির্বাচনে আগে গোয়ায় পায়ের তলায় মাটি শক্ত করার দিকে মন দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। গোয়া সরকারের বিরুদ্ধে আজাদ ময়দানে পিপলস চার্জশিট প্রকাশ করেছেন লুইজিনহো ফালেইরো, সৌগত রায়, বাবুল সুপ্রিয়রা। পাশাপাশি, রাজ্যপালের কাছে গোয়ার মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।