তৃণমূলে যোগ দিলেন রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী
বিজেপি-র আরও এক বিধায়ক যোগ দিলেন তৃণমূলে। বুধবার দক্ষিণ কলকাতার এক বেসরকারি হোটেলে রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীকে তৃণমূলে যোগদান করান তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যোগদানপর্বে ছিলেন তৃণমূলে হিন্দিভাষী সেলের সভাপতি তথা জোড়াসাঁকোর বিধায়ক বিবেক গুপ্ত।
এদিন কৃষ্ণ কল্যাণী বললেন, “বিজেপিতে কাজের পরিবেশ নেই। যা আছে তা শুধুই ষড়ষন্ত্র। আর এভাবে কোনওদিনও ভাল কাজ করা যায় না। আমি কাজ করার চেষ্টা করেছি। বড় জয়েনিং করিয়েছি। বিনিময়ে আমি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি। তাই বাধ্য হয়ে দল ছেড়েছি।” তাঁর কথায়, কেন্দ্র মানুষের জন্য কাজ করছে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন, মানুষের জন্য কাজ করছেন, তা দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছেন সাংসদ। সেই কারণেই দলবদলের সিদ্ধান্ত।
গত ১ অক্টোবর দলবিরোধী কাজের অভিযোগে কৃষ্ণকে শোকজ করেছিল বিজেপি। শোকজের সিদ্ধান্ত জানার পরেই দলত্যাগের কথা ঘোষণাও করেছিলেন কৃষ্ণ। এ বার সরাসরি নিজের পুরনো দলে ফিরে গেলেন তিনি। তাঁকে নিয়ে মোট পাঁচজন বিজেপি বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিলেন।
বিধানসভা ভোটের আগেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে গিয়েছিলেন কৃষ্ণ। গিয়েই রায়গঞ্জ কেন্দ্রে বিজেপি-র টিকিট পেয়ে জিতেও যান তিনি। কিন্তু বিধায়ক হওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই রায়গঞ্জের সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরীর সঙ্গে বিরোধী শুরু হয় তাঁর। প্রকাশ্যেই দলীয় সাংসদের বিরুদ্ধে তাঁকে হারানোর চক্রান্ত করার অভিযোগ আনেন রায়গঞ্জের বিধায়ক। বিরোধী এমন জায়গায় পৌঁছায় অঘোষিত ভাবে দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায়, বড়জোড়ার বিধায়ক তন্ময় ঘোষ, বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস ও কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায় তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। বিধানসভা ভোটে বিজেপি-র পক্ষে জয় পেয়েছিলেন ৭৭ জন। কিন্তু সাংসদ পদ ধরে রাখতে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক ও জগন্নাথ সরকার পদত্যাগ করায় সেই সংখ্যা নেমে এসেছিল ৭৫-এ। কিন্তু একে একে পাঁচজন বিধায়কের দলত্যাগে বিজেপি-র বিধায়ক সংখ্যা নেমে এল ৭০-এ।