কলকাতায় আজ থেকে শুরু প্লাজমা থেরাপি
করোনাজয়ীর রক্তে করোনা আক্রান্তকে সুস্থ করার পরিকল্পনা আগেই করেছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। পরীক্ষামূলক সেই কাজ অবশেষে শুরু হতে চলেছে আজ, সোমবার থেকে। পোশাকি নাম, প্লাজমা থেরাপি। চিন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে ইতিমধ্যেই এই থেরাপির সুফল মিলেছে। মহারাষ্ট্র ও দিল্লির পাশাপাশি আইসিএমআরের উদ্যোগে ২০টি চিকিৎসা কেন্দ্রে বর্তমানে এই থেরাপির ট্রায়াল চলছে। সেই তালিকায় নবতম সংযোজন বাংলা।
কোভিড থেকে সেরে ওঠার উপযোগী অ্যান্টিবডি করোনা জয়ীদের রক্তের প্লাজমায় মজুত আছে, এই ধারণা থেকেই কোভিড জয়ীদের প্লাজমা ব্যবহারের এই প্রয়াস করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায়। তাই করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন এমন তিন জনকে (বাকিদের পরে ডাকা হবে) আজ ডাকা হচ্ছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগে। সেখানকার প্রধান চিকিৎসক প্রসূন ভট্টাচার্য জানান, সোমবার আপাতত ওই তিন জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে।
সব ঠিক থাকলে চলতি সপ্তাহেই তাঁদের শরীর থেকে গড়ে ৫০০ মিলিলিটার করে প্লাজমা সংগ্রহ করা হবে। সম্ভাব্য দাতাদের অন্যতম হাবড়ার বাসিন্দা মনামী বিশ্বাস। স্কটল্যান্ড ফেরত ওই তরুণী দেশে ফিরেই করোনায় আক্রান্ত হন। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার পরই তিনি জানান, প্লাজমা থেরাপিতে অংশগ্রহণ করতে পারলে তিনি খুশি হবেন। সোমবার তাঁর মেডিক্যালে ডাক পড়ায় তিনি উচ্ছ্বসিত।
রবিবার বিকেলে তিনি বলেন, ‘মনেপ্রাণে চাই যাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় আমি উতরে যাই। আমার প্লাজমায় কেউ সুস্থ হয়ে উঠবেন, এটা ভেবেই আমি তৃপ্ত।’ এই প্রকল্পের নেতৃত্ব দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় সংস্থা ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ কেমিক্যাল বায়োলজির (আইআইসিবি) গবেষক, ইমিউনোলজি বিশেষজ্ঞ দীপ্যমান গঙ্গোপাধ্যায়।