দেশ বিভাগে ফিরে যান

লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল করতে পারবে না রাজ্য, বিস্তারিত নির্দেশিকা পাঠাল কেন্দ্র

May 18, 2020 | 2 min read

৩১ মে পর্যন্ত দেশজুড়ে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে ছাড়া দিয়ে জানসাধারণের জীবনযাত্রা সহজ করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক নির্দেশিকায় সাফ জানানো হয়েছে, লকডাউনে যেসব বিধানিষেধ করেছে তা যেন কোনও ভাবেই শিথিল করা না হয়।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব এক চিঠিতে রাজ্যের মুখ্য সচিবদের জানিয়েছেন, রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি কোনও ভাবেই লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল করতে পারবে না। নিজেরা পরিস্থিতি বিচার করে বিভিন্ন জোনে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারবেন।

গত রবিবার জারি হওয়া নতুন লকডাউন নির্দেশিকা অনুযায়ী রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত সরকারগুলি রেড, গ্রিন, অরেঞ্জ জোন নির্বাচন করতে পারবে। পাশাপাশি সংক্রমণের মাত্রা অনুযায়ী কনটেইমেন্ট জোন, বাফার জোন হিসেবেও এলাকা চিহ্নিত করতে পারবে।

এদিকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফেও এক নতুন নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে রাজ্যগুলিকে

রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির প্রশাসন রেড, অরেঞ্জ, গ্রিন, বাফার ও কনটেইনমেন্ট জোন ঠিক করতে পারবে। তবে তা করতে গেলে নির্দিষ্ট কিছু মানদণ্ড মানতে হবে।

বলা হয়েছে

কোনও এলাকায় সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২০০ বেশি হলে বিপজ্জনক। গত ২১ দিনে কোনও রোগী না পাওয়াই বাঞ্ছনীয়।

প্রতি লাখে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১৫ হল চিন্তার বিষয়। এটা শূন্যে নামিয়ে আনতে হবে।

ডাবলিং রেট ১৪ দিনের কম হলে চিন্তার। এটাকে ২৮ দিনের ওপরে নিয়ে যেতে হবে।

মৃত্যু হার ৬ শতাংশ বিপজ্জনক। ১ শতাংশের নীচে নামিয়ে আনতে হবে।

প্রতি লাখে কোভিড পরীক্ষা ৬৫ নীচে হলে খুবই খারাপ। এটা ২০০ ওপরে তুলতে হবে।

স্যাম্পলে পজিটিভ ৬ শতাংশ হলে খারাপ। একে ২ শতাংশ নিয়ে যেতে হবে।

জোন ঠিক হয়ে যাওয়ার পর সেখানে কনটেইনমেন্ট প্ল্যান কী হবে তা জানা যাবে এই লিঙ্ক গুলি থেকে।

 কনটেইমেন্ট জোনে ঢোকা ও বের হওয়ার রাস্তা পৃথক করতে হবে। চিকিত্সা ও প্রয়োজনীয় জিনিস কেনা ছাড়া বাইরে বের হওয়া যাবে না।

প্রতিটি কনটেইনমেন্ট জেনে বাফার জোন নির্বাচন করতে হবে। যেসব এলাকা থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা প্রবল সেগুলোই বাফার জোন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#India, #lock down

আরো দেখুন