চিকিৎসা ব্যবস্থায় নতুন গতি – রাজ্যে তৈরি হবে নতুন সাড়ে চার হাজার সাব-সেন্টার
রাজ্যে প্রায় সাড়ে চার হাজার নতুন সাব-সেন্টার তৈরি হবে বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে স্বাস্থ্য ভবন। মূলত এই সেন্টারগুলি থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হবে। এর জন্য জমি দেখতে প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর তার খোঁজ করতে গিয়েই রীতিমতো কালঘাম ছুটেছে ব্লক প্রশাসনের। সব ব্লকে পর্যাপ্ত জমি পাওয়া যাচ্ছে না বলে খবর। ঘনবসতি এলাকায় এমন সাব-সেন্টার তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। কারণ বর্তমানে যেসব স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে, জনসংখ্যা বাড়ায় সেগুলির উপর বাড়তি চাপ পড়ছে।
গত মাসে এই সাব-সেন্টার তৈরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, জমি খোঁজার পাশাপাশি যদি অব্যবহৃত সরকারি ভবন পাওয়া যায়, সেখানেও সেন্টার তৈরি করা যেতে পারে। জমি পাওয়া না গেলে প্রয়োজনে ভাড়া বাড়িতে এক বছরের জন্য এই সাব-সেন্টার চালানো যাবে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা স্বাস্থ্য জেলায় এমন ২২৪টি সাব-সেন্টার তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। অন্যদিকে, ডায়মন্ডহারবার স্বাস্থ্য জেলায় এই সংখ্যা ১৬২। তবে এখনও টাকা বরাদ্দ হয়নি বলে জানা গিয়েছে। কোথায়, কত জমি পাওয়া গেল, সেই রিপোর্ট জমা পড়ার পরই টাকা বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। ইতিমধ্যেই এই জেলায় ২২টি জমি চিহ্নিত করেছে প্রশাসন।
বিভিন্ন জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছু ব্লক জমির খোঁজ পেলেও বাকিদের তা পেতে বেশ সমস্যা হচ্ছে। কারণ কেউই সহজে জমি দিতে রাজি হচ্ছেন না। তাই সরকারি জমির উপরই নির্ভর করতে হচ্ছে। সেটাও অপ্রতুল। গোটা রাজ্যেই কমবেশি একই চিত্র বলে জানা গিয়েছে। এক বিডিও বলেন, বর্তমান সময়ে জমি পাওয়া খুবই কঠিন। তবুও চেষ্টা করে দেখতে হচ্ছে। কিছু স্কুল বিল্ডিং আছে, যেখানে দু’-তিনটি ঘরকে এই কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। আপাতত আধিকারিকরা হন্যে হয়ে জমির খোঁজ চালিয়ে যাচ্ছেন। মালদহ, মুর্শিদাবাদ, কোচবিহার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় এই ধরনের স্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরির উপর বাড়তি জোর দেওয়া হয়েছে। তাই এই সব জেলায় সাব-সেন্টারের সংখ্যাও বেশি ধরা হয়েছে। নদীয়ার নাকাশিপাড়া, রানাঘাট ২, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর, মালদহের কলিয়াচক ব্লকে সব থেকে বেশি সেন্টার তৈরি হবে বলে স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে। স্বাস্থ্য ভবন এমনভাবে পরিকল্পনা সাজিয়েছে, যাতে কোনও ব্লকই বাদ না যায়।