বিবিধ বিভাগে ফিরে যান

ব্যবসায়িক মন্দার কারণে ছাঁটাই সুইগি, জোম্যাটোতে

May 19, 2020 | < 1 min read

লকডাউন ৪.০ শুরু হওয়ার দিনেই দেশের চাকুরিজীবী আমজনতার ভবিষ্যৎ নিয়ে নিজেদের আগের সিদ্ধান্ত থেকে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে দাঁড়াল মোদী সরকার। লকডাউন পর্বে বেসরকারি সংস্থাগুলিকে কর্মীদের পুরো বেতনই দিতে হবে, না হলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে গত ২৯ মার্চ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক যে নির্দেশ জারি করেছিল, ১৭ মে তা ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ফলে, কর্মীদের বেতন কমানো বা প্রয়োজনে তাদের ছাঁটাই করায় আর কোনও বাধা রইল না বেসরকারি সংস্থাগুলির সামনে।

এ সবের মাঝেই অনলাইন ফুড ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম স্যুইগির তরফে সোমবার জানিয়ে দেওয়া হল, লকডাউনের জন্য ব্যবসায়িক মন্দার কারণে ১,১০০ কর্মীকে ছাঁটাই করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ওই নির্দেশিকা প্রত্যাহার করায় আগামী কয়েক মাসে এই পথে হাঁটতে পারে দেশের বহু সংস্থা এবং তার ফলে কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘটনা আরও বাড়বে।

fake food shops: Fake food shops flourish on Swiggy, Zomato, users ...
ব্যবসায়িক মন্দার কারণে ছাঁটাই সুইগি, জোম্যাটোতে সংগৃহীত চিত্র

সংস্থা মালিকরা অবশ্য এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানান। ২৯ মার্চের নির্দেশিকা নিয়ে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন একাধিক সংস্থা কর্তৃপক্ষ। তাঁদের দাবি ছিল, সব বেসরকারি সংস্থাকে এক নিক্তিতে ওজন করে কর্মী ছাঁটাই বা বেতন না কাটার নির্দেশ দেওয়া অযৌক্তিক। সরকারের এই নির্দেশ সংস্থাগুলির উপর জোর করে চাপিয়ে দেওয়া করের সমতুল। অথচ, ওই কর চাপানোর কোনও আইনি ভিত্তি নেই। 

গত শুক্রবার শীর্ষ কোর্টের তরফে জানানো হয়েছিল, লকডাউনের মধ্যে কোনও সংস্থার তরফে তার কর্মীদের বেতন দেওয়া সম্ভব না হয়ে থাকলে, কেন্দ্র যেন অবিলম্বে তার বিরুদ্ধে কোনও শাস্তিমূলক পদক্ষেপ না করে। চলতি সপ্তাহে মামলাটির ফের শুনানি হওয়ার কথা। তার আগে কেন্দ্র সরকারকে তাদের আগের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার পরামর্শও দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Coronavirus, #swiggy, #zomato

আরো দেখুন