দেশে করোনা ঊর্ধ্বমুখী রাজ্যে উল্টো ছবি
উৎসবের মরশুমের সামান্য স্বস্তি। বুধবারের তুলনায় কমল রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ। তবে বৃহস্পতিবারও মৃতের সংখ্যা অপরিবর্তিত। এদিনও করোনার বলি ১৪ জন। কমেছে পজিটিভিট রেট।
স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ২২৮ জন কলকাতার। অর্থাৎ দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে এদিন ফের প্রথমে ওই জেলা। আগের দিনের তুলনায় অত্যন্ত সামান্য কমেছে সংক্রমণ। দ্বিতীয় স্থানে উত্তর ২৪ পরগনা। একদিনে আক্রান্ত সেখানকার ১৫৬ জন। আগের দিন সংক্রমণ ছিল এর তুলনায় অনেকটাই কম। যা স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ বাড়িয়েছে। দৈনিক সংক্রমণে তৃতীয় স্থানে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। একদিনে ওই জেলায় নতুন করে সংক্রমিত ৭৭ জন। চতুর্থ স্থানে হাওড়া। সেখানে একদিনে সংক্রমিত ৭৪ জন। এছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যের কমবেশি সব জেলা থেকেই নতুন আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। ফলে রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৫,৯৬,৩৩২।
রাজ্যে সংক্রমণ কমলেও দিওয়ালির সকালে দেশের করোনা পরিসংখ্যানে সামান্য হলেও চিন্তা বাড়ল। এদিন একধাক্কায় অনেকটা বাড়ল করোনার দৈনিক মৃতের সংখ্যা। বস্তুত গত সপ্তাহ দুয়েক ধরেই করোনা আক্রান্তের তুলনায় মৃতের সংখ্যাটা বেশি থাকছে। যা চিন্তা বাড়াবে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের। এদিন মৃতের পাশাপাশি আক্রান্তের সংখ্যাটাও বেড়েছে। তবে, অ্যাকটিভ কেস কমায় স্বস্তিও মিলেছে।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪৬১ জনের। যা আগের দিনের থেকে অনেকটাই বেশি। এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১২ হাজার ৮৮৫ জন করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন। এই সংখ্যাটাও আগের দিনের থেকে অনেকটাই বেশি। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৪৩ লক্ষ ২৫ হাজারের কাছাকাছি। মোট মৃতের সংখ্যা ৪ লক্ষ ৫৯ হাজার ৬৫২ জন।
সংক্রমণ সামান্য বাড়লেও করোনার অ্যাকটিভ কেস এদিন অনেকটা কমেছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, বর্তমানে দেশে করোনায় চিকিৎসাধীন রোগী ১ লক্ষ ৪৮ হাজার ৫৭৯ জন। দীর্ঘদিন বাদে অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা নেমে এসেছে দেড় লক্ষের নিচে। করোনা মোকাবিলায় শক্তি জোগাচ্ছেন করোনাজয়ীরা। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে ৩ কোটি ৩৭ লক্ষ ১২ হাজার ৭৯৪ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ৫৪ জন।
ভাইরাস রুখে দিতে টিকাকরণকেই মূল হাতিয়ার করা হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য জানাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত দেশে মোট ১০৭ কোটি ৬৩ লক্ষ ১৪ হাজার ৪৪০ ডোজ করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গতকালই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে ৩০ লক্ষের বেশি। দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর গতকালই ছাড়পত্র পেয়েছে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করোনার টিকা কোভ্যাক্সিন। তারপরই ভারতীয়দের জন্য বড়সড় স্বস্তির খবর দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। আগামী ৮ নভেম্বর থেকে কোভ্যাক্সিন নিলেও আমেরিকায় ভারতীয়দের প্রবেশে ছাড়পত্র দিয়ে দিয়েছে সে দেশের প্রশাসন।