মন্দিরে পুণ্যার্থীদের ফল, জল দেওয়ার অভিযোগে মুসলিম ব্যক্তিকে বেধড়ক প্রহার উত্তর প্রদেশে
প্রতি বছর শ্রাবণ মাসে সারা দেশের হাজার হাজার ভক্ত কানোয়ার যাত্রায় যান।

উত্তরপ্রদেশের একটি মন্দিরে ঢুকে কানোয়ার যাত্রীদের ফল ও জল বিতরণ করছিলেন মুসলিম ধর্মালম্বী এক ব্যক্তি। সেই অপরাধে তাঁকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার রাতে উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরের একটি মন্দিরের ভেতরে প্রবেশ করে অভুক্ত, ক্লান্ত কানোয়ার যাত্রীদের ফল ও জল বিতরণ করছিলেন কাজি ফারহান। এই ‘অপরাধে’ তাঁকে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী মন্দির থেকে টেনে বের করে চেন দিয়ে বেঁধে বেধড়ক মারধর করে। ফারহানের অভিযোগ, যারা মারধর করে তাদের হাতে ধারাল অস্ত্র ছিল। এই ঘটনায় ফারহান গুরুতর আহত হন। তাঁর মুখে গভীর ক্ষত তৈরি হয়, রক্তাক্ত হন তিনি। তিনি আরও জানিয়েছেন, শুধু মারধর করেই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়নি। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।
প্রতি বছর শ্রাবণ মাসে সারা দেশের হাজার হাজার ভক্ত কানোয়ার যাত্রায় যান। হরিদ্বার, গোমুখ, গঙ্গোত্রী থেকে গঙ্গাজল নেওয়াই কানোয়ার যাত্রার উদ্দেশ্য। এরপর সেই জল ভগবান শিবের মাথায় ঢালা হয়। আটের দশকে কানোয়ার যাত্রা বিপুল জনপ্রিয়তা পায়। করোনার দাপটে ২০২০ সালে তা বন্ধ ছিল। ২০২১ সালেও উত্তরাখণ্ড, ঝাড়খণ্ড, বিহার ও ওড়িশা সরকার কানোয়ার যাত্রা বাতিল করে। চাপে পড়ে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনও এই বছর কানোয়ার যাত্রা বাতিলের নির্দেশ দেয়।