আধার-প্যানের সাথে এবার যুক্ত হবে ইউনিক কোড, কিন্তু কেন?

জিএসটি দুর্নীতি, মিথ্যা তথা জাল প্রকল্প জমা দিয়ে ঋণ গ্রহণ, টাকা পাচার, আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি ইত্যাদি থাকবে এই তালিকায়।

July 30, 2023 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi
ছবি সৌজন্যে: Study Cafe

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: কথায় আছে চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে। পালানোর পর বুদ্ধি বাড়লেও কোন লাভ নাই। ক্ষতি যা হওয়ার হয়ে যায়। তেমনি দেশের ক্ষতি হয়েছিল মেহুল চোকসি, বিজয় মালিয়া, নীরব মোদীরা আর্থিক প্রতারণা করে দেশ ছেড়ে পালানোর পর। যদিও তখন হুঁশ ফেরেনি মোদী সরকারের।

তাই দেরিতে হলেও টনক নড়েছে কেন্দ্রের। এবার আর্থিক প্রতারণা, জালিয়াতি কিংবা তছরুপে জড়িত অপরাধী কিংবা সংস্থার বিরুদ্ধে শুধু আইনি ব্যবস্থার সাথে কঠোরতম প্রশাসনিক শাস্তির কথা ভাবা হচ্ছে।

জানা গিয়েছে, আর্থিক দুর্নীতিতে দোষী সাব্যস্তদের নামের সঙ্গে যুক্ত করা হবে একটি ইউনিক আইডেন্টিটি কোড। সেটি হবে প্রতারক ব্যক্তি অথবা সংস্থার প্রকাশ্য পরিচায়ক। এর জন্য আধার কার্ড এবং প্যান কার্ডের সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া হবে ওই বিশেষ কোড। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রককে এই প্রস্তাব দিয়েছে সেন্ট্রাল ইকনমিক ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (সিইআইবি)।

সিইআইবি জানিয়েছে, অপরাধী একক ব্যক্তি হলে আধার কার্ড এবং সংস্থাগতভাবে আর্থিক প্রতারণা করলে প্যানের সঙ্গে জুড়বে ওই ইউনিক কোড। ফলে যদি একবার প্রতারণা ধরা পড়ে তাহলে ওই একই কাজ করার সম্ভাবনা থাকবে না। এছাড়াও, অতীতের কুকর্ম সম্পর্কে সতর্কও থাকা যাবে।

বারংবার নাম পরিবর্তন করে চিটফান্ড সংস্থার বেআইনি কারবার বন্ধ করতে এই উদ্যোগ বলে মনে করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের সঙ্গে আর্থিক প্রতারণা, জনতার অর্থ নয়ছয়, ব্যাঙ্কের টাকা নিয়ে অনিয়ম, জিএসটি দুর্নীতি, মিথ্যা তথা জাল প্রকল্প জমা দিয়ে ঋণ গ্রহণ, টাকা পাচার, আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি ইত্যাদি থাকবে এই তালিকায়। কিন্তু আর্থিক প্রতারণা রুখতে বাস্তবে কতটা সম্ভব হবে তা সময় বলে দেবে।

যদিও এই প্রস্তাবে আপত্তি তুলেছে দেশের বিভিন্ন শিল্পমহল। তাদের প্রশ্ন, একমাত্র সাজাপ্রাপ্তদের ক্ষেত্রেই কি এই ব্যবস্থা নেওয়া হবে? নাকি আর্থিক অপরাধের মামলা চলাকালীন প্যান-আধারে জুড়বে ওই কোড?

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen