করোনা সংকট নিয়ে রাহুল গান্ধীকে পরামর্শ দিলেন অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়
করোনা ভাইরাসের প্রকোপে ক্রমেই খাদের ধারে চলে যাচ্ছে ভারতের অর্থনীতি। এই অবস্থায় সাধারণ ও গরিব মানুষরা পড়েছেন অসুবিধায়। তাদের কর্মসংস্থানের অভাবের জেরে অন্নের অভাব দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতি দেশকে কীভাবে এই পরিস্থিতি থেকে তুলে নিয়ে আসা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়।
করোনা ভাইরাসের প্রকোপে ক্রমেই খাদের ধারে চলে যাচ্ছে ভারতের অর্থনীতি। এই অবস্থায় সাধারণ ও গরিব মানুষরা পড়েছেন অসুবিধায়। তাদের কর্মসংস্থানের অভাবের জেরে অন্নের অভাব দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতি দেশকে কীভাবে এই পরিস্থিতি থেকে তুলে নিয়ে আসা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত সপ্তাহেই আরবিআই-এর প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজনের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলে দেশের অর্থনীতি নিয়ে আলোচনা করেছিলেন রাহুল গান্ধী। আর এদিন কংগ্রেসের টুইট করা ভিডিওর একটি ক্লিপে তাঁকে অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেল। বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনার এটি ছিল দ্বিতীয় অধ্যায়।
অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, দুটি পথ আছে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার ও বিভিন্ন সংস্থাকে দেউলিয়া হওয়া থেকে বাঁচানোর। প্রথমত, এই ধরণের সংস্থাগুলির ঋণ ফেরত দেওয়ার সময়সীমা শুধু পিছিয়ে দিলে হবে না, একেবারে মকুব করে দিতে হবে। যাতে ব্যবসায়ীর মাথার ওপর থেকে চাপ সরে যায়। পাশাপাশি, নগদ টাকা পৌঁছে দিতে হবে সাধারণ মানুষের হাতে।

তাঁর এই যুক্তির স্বপক্ষে অভিজিৎ বলেন, ‘ধরে নিন, লকডাউনে আপনার টাকা নেই, আপনার দোকান বন্ধ। স্বাভাবিকভাবে আপনি নতুন কিছু কিনবেন না। তাহলে অন্য একটি দোকানও এভাবে বন্ধ হয়ে থাকবে। তাঁরও ব্যবসা করা সম্ভব হবে না। তাই মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য মানুষের হাতে টাকা পৌঁছে দিতে হবে, যাতে তাঁরা কিনতে শুরু করেন, এবং অর্থনীতি কাজ করতে শুরু করে।’
এর আগে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে রাহুল গান্ধীই আলোচনা করেছিলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন বলেছিলেন, করোনাভাইরাসের কারণে চলা লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্রদের জন্য ৬৫,০০০ কোটি টাকা প্রয়োজন।