বাংলায় পিছনের দরজা দিয়ে NRC-র চেষ্টা, BJP-কে নিশানা করে গর্জে উঠলেন অভিষেক
প্রায় ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কোচবিহারের দিনহাটায় বসবাস করছেন তিনি। তাঁর ভোটার কার্ড, আধার কার্ডের মতো বৈধ পরিচয় পত্র রয়েছে।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২২:৪৬: কোচবিহারের দিনহাটার বাসিন্দা রাজবংশী সম্প্রদায়ের উত্তমকুমার ব্রজবাসীর কাছে বৈধ পরিচয়পত্র থাকলেও সম্প্রতি তাঁকে এনআরসির নোটিশ পাঠিয়েছে অসমের ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল। প্রায় ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কোচবিহারের দিনহাটায় বসবাস করছেন তিনি। তাঁর ভোটার কার্ড, আধার কার্ডের মতো বৈধ পরিচয় পত্র রয়েছে। তারপরেও কেন এই নোটিশ? উঠছে প্রশ্ন। আজ, মঙ্গলবার রাতে এই ইস্যুতে গর্জে উঠেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)।
এক্স হ্যান্ডলে এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে অভিষেক লিখেছেন, “বাংলায় পিছনের দরজা দিয়ে এনআরসি চালু করার চেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়, বিজেপির বাংলা শাসন করার জনাদেশ বা নৈতিক অধিকার নেই। তারা (বিজেপি) বাংলাভাষী নাগরিকদের মধ্যে ভয় ও নিরাপত্তাহীনতা তৈরি করছে এবং বাংলায় ‘ডিটেনশন ক্যাম্প মডেল’ তৈরির চেষ্টা করছে। যদি বাংলায় কোনও জায়গা না-পেয়েই বিজেপির ঔদ্ধত্যের মাত্রা এই হয়, তাহলে কেউ কল্পনা করতে পারবে ক্ষমতা পেলে তারা কী ধরণের অস্থিরতা তৈরি করবে।” তিনি আরও লিখছেন, “এটি আর শুধু রাজনৈতিক যুদ্ধ নয়। এটি আমাদের সংবিধানের গণতান্ত্রিক, বহুত্ববাদী নীতি রক্ষার লড়াই। আমরা বিজেপির বিভেদকামী, জনবিরোধী এবং আধিপত্যবাদের অভিসন্ধিকে বাংলায় শিকড় স্থাপন করতে দিচ্ছি না এবং দেবও না। বাংলা প্রতিরোধ করবে। বাংলা মাথা নত করবে না।”
উল্লেখ্য, আজ, মঙ্গলবারই এই ইস্যুতে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী এক্স হ্যান্ডেলে জানান, “আমি হতবাক ও অত্যন্ত বিচলিত হয়েছি। এটি গণতন্ত্রের উপর পরিকল্পিত আক্রমণ। অসমের বিজেপি সরকার কোনও সাংবিধানিক ক্ষমতা ছাড়াই বাংলায় এনআরসি চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।” অসমের বিজেপি সরকারের এহেন পদক্ষেপকে ‘গণতান্ত্রিক সুরক্ষার ওপর হামলা’ বলেই মনে করছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।