দিল্লির তল্পিবাহক তকমা দিয়ে নাম না করে শুভেন্দুকে আক্রমণ অভিষেকের

নাম না নিলেও এদিন তৃণমূল ভবনের সাংবাদিক বৈঠক থেকে শুভেন্দুকে বিরোধী দলনেতা সম্বোধন করেন অভিষেক।

June 7, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন ৪৮ ঘণ্টাও হয়নি, এরই মধ্যে শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) কড়া ভাষায় আক্রমণ শানালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। নাম না নিলেও এদিন তৃণমূল ভবনের সাংবাদিক বৈঠক থেকে শুভেন্দুকে বিরোধী দলনেতা সম্বোধন করেন অভিষেক। বলেন, ‘কুৎসা না করে বিরোধী দলনেতার কাজ করুন। দিল্লির তল্পিবাহক হতে গিয়ে বাংলার মানুষকে অপমান করছেন। হুমকি দিচ্ছেন, বাংলার ৪০ লক্ষ মানুষ বিজেপি শাসিত রাজ্যে কাজ করেন, তাঁদের দেখে নেওয়া হবে বলে। এই ধরনের কথা বাংলার মানুষ সহ্য করেন না, পছন্দ করেন না।’

এরপরই আবেদনের সুরে তিনি বলেন, ‘ বিরোধী দলনেতাকে অনুরোধ করব গঠনমূলক আলোচনা করুন। কুৎসা না করে বিরোধী দলনেতার কাজ করুন। ৪০ লক্ষ বাঙালি বাইরে থাকে। শুধরে যান না হলে দেখে নেব। এমন হুমকি দিয়েছেন কানে এসেছে। এই ধরনের কথা মানুষ পছন্দ করে না। বিরোধী দলনেতার যেটা কাজ সেটা করুন।’

এদিন সাংবাদিক বৈঠকের শুরুতেই তৃণমূলের নতুন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের কাছে প্রশ্ন ছুটে যায়, আপনি কি তাহলে তৃণমূলের ‘সেকেন্ড ম্যান’? সটান জবাব দেন অভিষেক। বলেন, ‘২০১৪ সালের ১৬ অক্টোবর আমি তৃণমূল কংগ্রেস যুবর দায়িত্ব নিয়েছিলাম। সাড়ে ছয় বছর সংগঠনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন। আমার সীমাবদ্ধ ক্ষমতা অনুযায়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিন্তা এবং তৃণমূলের সমষ্টিগত ভাবনাকে বাংলার নানা জেলায় পৌঁছে দিতে পেরেছি। দল আমাকে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করেছে। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কৃতজ্ঞ। দলে প্রবীনদের কাছে কৃতজ্ঞ। কিন্তু আমাদের দলে একজনই নেত্রী। আর আমরা সবাই কর্মী। আমরা কর্মী হিসেবেই কাজ করি।’

তাঁর সংযোজন, ‘আমি দলের সেকেন্ড ম্যান নই। সায়নীকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার বিকল্প ভেবেছে। সায়নী ফুল টাইমার হিসেবে কাজ করতে চায়।গতকাল সুব্রত বক্সী, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায় সঙ্গে দেখা করেছি।আজকে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে দেখা করব। আগামীকাল সৌগত রায়ের সাথে দেখা করবে।’

তাঁর কাঁধে যে দায়িত্ব দিয়েছে দল, কীভাবে তৃণমূলকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন সর্বভারতীয় স্তরে? অভিষেকের জবাব, ‘যদি কোনও রাজ্যে ভোট লড়তে যাই তবে একটি দুটি আসনের জন্য যাব না। ভোটের শেয়ার বাড়াতেও যাব না। আগের তৃণমূলের থেকে এই তৃণমূল আলাদা। এবার গেলে সেই রাজ্যে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা দলের লক্ষ্য নিয়ে যাব। আমরা যে রাজ্যে যাব সে রাজ্যের মানুষের প্রথম পছন্দ করতে চাইব।’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen