বামশাসিত কেরলে গণধর্ষণের শিকার বাংলার তরুণী, প্রতিনিধি দল পাঠালেন অভিষেক
সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একাধিক ছবিতে দেখা যায়, আতঙ্কে চিলির সমর্থকেরা গ্যালারির উঁচু আসন থেকে লাফিয়ে পালানোর চেষ্টা করছে।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৮.৫০: আর্জেন্টিনার বুয়েনোস আইরেসে কোপা সুদআমেরিকানা ফুটবল ম্যাচ রণক্ষেত্র পরিস্থিতি। ইন্ডিপেনডিয়েন্তে ও চিলির ইউনিভার্সিদাদ দে চিলে-র মধ্যে অনুষ্ঠিত শেষ ষোলো পর্বের দ্বিতীয় লেগ ম্যাচে মাঠে দেখা গেল তীব্র হিংসার ছবি। যার জেরে ১০ জন সমর্থক আহত হন এবং ম্যাচ মাঝপথেই বন্ধ হয়ে যায়।
প্রথমার্ধ শেষে যখন খেলা ১-১ ছিল, তখনই দর্শকাসনে বিস্ফোরক পরিস্থিতি তৈরি হয়। অভিযোগ, চিলিয়ান সমর্থকেরা পাথর, লাঠি, বোতল এমনকি স্টান গ্রেনেড পর্যন্ত নিক্ষেপ করে স্থানীয় সমর্থকদের দিকে। উত্তেজিত আর্জেন্টাইন দর্শকরা হঠাৎই আক্রমণ চালিয়ে চিলির সমর্থকদের মারধর ও অপমান করে। সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একাধিক ছবিতে দেখা যায়, আতঙ্কে চিলির সমর্থকেরা গ্যালারির উঁচু আসন থেকে লাফিয়ে পালানোর চেষ্টা করছে।
মাঠে এই হিংসা ছড়িয়ে পড়তেই পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে নিরাপত্তা বাহিনী ঘটনাস্থল থেকে ৯০ জন সমর্থককে আটক করেছে বলে জানিয়েছে আর্জেন্টিনার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। চিলির রাষ্ট্রদূত হোসে আন্তোনিও ভিয়েরা-গায়ো এই ভয়াবহ ঘটনার নিন্দা করে জানান, কয়েকজন চিলিয়ান সমর্থক ছুরির আঘাতে গুরুতর জখম হয়েছেন।
চিলির আন্তর্জাতিক ফুটবলার এবং বর্তমানে ইন্ডিপেনডিয়েন্তে-তে খেলা ফেলিপে লোয়োলা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন— “এই মাত্রায় হিংসা মেনে নেওয়া যায় না। পুলিশ কোথায় ছিল?”
ঘটনায় বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফা-ও ক্ষুব্ধ । ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ানি ইনফান্তিনো এক বিবৃতিতে বলেন “ফুটবলে এই ধরনের কার্যকলাপের কোনো জায়গা নেই। খেলা উপভোগ করতে গিয়ে যেন কেউ কখনও আতঙ্কে না থাকে।”
তবে এই প্রথম নয়। দক্ষিণ আমেরিকার ক্লাব ফুটবলে একাধিকবার এ ধরনের নৃশংসতা ঘটেছে। গত বছরই কোপা লিবার্তাদোরেসে চিলির কলো কলোর বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে দুই সমর্থকের মৃত্যু হয়েছিল। সে সময় শাস্তি হিসেবে দলটির পয়েন্ট কাটা হয় এবং বড় অঙ্কের আর্থিক জরিমানা দিতে হয়। ফের এরকম ঘটনা গোটা বিশ্ব ফুটবলকে চমকে দিয়েছে।