দ্রুত অর্ডার পৌঁছনোর তাগিদে দুর্ঘটনা বাড়ছে অ্যাপ-বাইকের, নড়েচড়ে বসছে রাজ্য
প্রতিশ্রুতি পালন করতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাইক চালাতে বাধ্য হন ডেলিভারি বয়রা।

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: গত ছ’মাসে বিধাননগর ও কলকাতা পুলিশ মিলিয়ে পথ দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন ৩৩ জন অ্যাপ-বাইক চালক! অর্ডার করার ৩০ মিনিটের মধ্যে খাবার বাড়িতে না পৌঁছলে পয়সা ফেরত, এমনই দাবি করে অনলাইনে খাবার সরবরাহকারী ফুড ডেলিভারি সংস্থা। দৈনন্দিন ব্যবহারের জিনিস সরবরাহ করেও এমন অনেক সংস্থা ১০-১২ মিনিটের মধ্যে জিনিস পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়।
সেই প্রতিশ্রুতি পালন করতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাইক চালাতে বাধ্য হন ডেলিভারি বয়রা। কারণ, সময়ে না-পৌঁছতে পারলে সংস্থার থেকে ইনসেনটিভ পাওয়া যায় না। মেলে না ভাল রেটিং। যার প্রভাব পড়ে কর্মজীবনে। পেটের তাগিদে অনেকেই দৌড়ন। ঘটে দুর্ঘটনা। সমস্যা মেটাতে এবার উদ্যোগী হল রাজ্য। অনলাইনে তৈরি করা খাবার থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহ করে এমন আটটি সংস্থাকে চিঠি দিয়েছে রাজ্য পরিবহণ দপ্তর। বলা হয়েছে, সময়ে পৌঁছতে না-পারলেও ডেলিভারি বয়দের যাতে ইনসেনটিভ কাটা না-হয়। কর্মজীবনে যাতে কোনও প্রভাব না পড়ে তা নিশ্চিত করতে হবে। সরকারের লক্ষ্য, দুর্ঘটনা কমানো।
শহরের প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজারের বেশি যুবক অনলাইনে খাবার থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহের সঙ্গে যুক্ত। অনলাইনে খাবার সরবরাহ করেন, এমন সংস্থার ডেলিভারি বয়দের নিয়ে কর্মশালার আয়োজন করেছিলেন ডায়মণ্ড হারবার, জেমস লং সরণি এবং ঠাকুরপুকুর ট্র্যাফিক গার্ডের অফিসারেরা। তাঁদের কী সমস্যা তা জানার জন্য কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল বলে পুলিশের দাবি। নিয়ম না-মেনে গাড়ি চালাতে কেন বাধ্য হন তাঁরা, ওই কর্মশালায় সেই বিষয়টি তুলে ধরেন ডেলিভারি বয়দের অনেকে। বিষয়টি ট্র্যাফিক পুলিশের কর্তারা পরিবহণ দপ্তরকে জানানোর পরেই ডেলিভারি সংস্থাগুলিকে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।