বানভাসী ঘাটালের পাশে প্রহরীর ভূমিকায় তৃণমূল সাংসদ দেব

ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নের কাজ চলছে জোরকদমে।

September 18, 2024 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নের কাজ চলছে জোরকদমে। ডিভিসি জল ছাড়ায় বানভাসী পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ঝাঁপিয়ে পড়েছেন তৃণমূলের তারকা সাংসদ দেব। মানুষজন ত্রিপল এবং ত্রান পেলেন কি-না তার খোঁজ নিয়েছেন দেব। জলমগ্ন এলাকা পরিদর্শন করেন দেব। পরিদর্শনের পর প্রশাসনিক প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

ডিভিসির মাইথন এবং পাঞ্চেত জলাধার থেকে মঙ্গলবার বেলা ১১টা নাগাদ যথাক্রমে ১ লক্ষ ৭০ হাজার কিউসেক এবং ৭০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হচ্ছে। ব্যাপক পরিমাণে জল ছাড়ার জেরে গ্রামীণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। নাগাড়ে বৃষ্টির সঙ্গে ডিভিসির ছাড়া জল বন্যা পরিস্থিতি তৈরি করেছে। মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। দু্র্যোগের সময় ঘাটাল পৌঁছে গিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ দেব।

ডিভিসি না-জানিয়েই জল ছেড়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বর্ধমান, ঘাটাল, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি প্লাবিত হয়ে গিয়েছে। সোমবার কেশপুর, কলাগ্রাম, দাশপুর–সহ নানা এলাকা পরিদর্শন করেন দেব। এই বানভাসী পরিস্থিতিতেও তাঁকে দেখতে ভিড় জমান সাধারণ মানুষ। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ঘাটালের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। প্রশাসন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে প্রস্তুত বলে জানান তিনি। ডিভিসি থেকে আরও জল ছাড়া হতে পারে, এমন আশঙ্কা রয়েছে।

ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের নেতা, মন্ত্রী, বিধায়ক, সাংসদদের বানভাসী মানুষজনের পাশে গিয়ে দাঁড়াতে নির্দেশ দিয়েছেন। সকলে নেমে পড়েছেন। দুর্গত মানুষজনকে উদ্ধার করে আশ্রয় শিবিরে রাখা থেকে শুরু করে জামাকাপড় এবং খাবারের ব্যবস্থা করেছেন তাঁরা। দেব বলেন, “বন্যার সময় জলের সমস্যা বেশি হয়। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। বাড়ি বাড়ি পৌঁছতে না পারলেও এমন জায়গায় থাকব যেখান থেকে সবটা বুঝতে পারব। মানুষকে যেন পরিষেবা দিতে পারি। এই দুর্যোগের মধ্যেও মানুষ যেন বেঁচে থাকার সাহস পায়। এত বেশি বৃষ্টি হচ্ছে বলেই সমস্যা।”

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen