বহু বছর পর মহালয়ায় মহিষাসুরমর্দিনী রূপে অভিনেত্রী পায়েল দে, কোথায় হবে সম্প্রচার?

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২১:১৯: চারপাশে উৎসবের আগমনী সুর। ঢাকের শব্দ যেন অপেক্ষার সীমানায় দাঁড়িয়ে ইঙ্গিত দিচ্ছে, আর কিছুদিন পরই আসছে শারদোৎসব। বাঙালির হৃদয়ের সবচেয়ে প্রিয় উৎসব শারদোৎসবের সূচনা যে দিনটিতে, সেই মহালয়ার সকালে এবারও রেডিওতে বেজে উঠবে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের অমর কণ্ঠ। তবে শুধু রেডিও নয়, টেলিভিশনের পর্দাতেও সেই ভোরে থাকবে একগুচ্ছ মহালয়া উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠান, চিত্রনাট্য, গান, আর দেবী দুর্গার মহিমা বর্ণনা।
এবছর সান বাংলা নিয়ে আসছে তাদের বিশেষ মহালয়া অনুষ্ঠান ‘অকাল বোধন’। আর এই অনুষ্ঠানে বহু বছর পর ফের মা দুর্গার রূপে দর্শকের সামনে আসছেন ছোট পর্দার পরিচিত মুখ পায়েল দে।
দর্শকের কাছে তিনি ‘দুর্গা’র অবিচ্ছেদ্য অংশ। আগেও বহুবার তাঁকে দুর্গার রূপে দেখা গেছে, তবে দীর্ঘ বিরতির পর ফের এই ভূমিকায় তাঁকে দেখতে পাওয়ার খবরেই খুশি ভক্তরা।
পায়েল বলছেন, “দীর্ঘ বছর পর মহিষাসুরমর্দিনী করতে পেরে আমি খুবই আবেগপ্রবণ। শেষবার সম্ভবত ২০১৭ সালে আমি এই রূপে অভিনয় করেছিলাম। এতদিন পর আবার সেই সুযোগ পাওয়াটা সৌভাগ্যের বিষয়। সান বাংলাকে ধন্যবাদ আমাকে এই সুযোগ দেওয়ার জন্য।”
উল্লেখ্য, বর্তমানে ‘কোন সে আলোর স্বপ্ন নিয়ে’ ধারাবাহিকে ‘আলো’ চরিত্রে অভিনয় করছেন পায়েল, যা ইতিমধ্যেই দর্শকের মন জয় করেছে। ‘অকাল বোধন’-এর কাহিনি রামায়ণের একটি অধ্যায়ের উপর ভিত্তি করে। যুদ্ধের সময় রাবণ শক্তিশালী হয়ে ওঠায়, দেবতার পরামর্শে রামচন্দ্র অকাল বোধনের মাধ্যমে দেবী দুর্গার আরাধনা করেন। দেবীর কাছে তাঁর ভক্তি পরীক্ষা দিতে হয়। এক পদ্ম কম থাকায় রামচন্দ্র নিজের চোখ উৎসর্গ করতে প্রস্তুত হন, আর তাতেই দেবী সন্তুষ্ট হয়ে আশীর্বাদ করেন।
এই অনুষ্ঠানে এই পৌরাণিক কাহিনির মোড়কে থাকছে আধুনিকতার ছোঁয়াও। অন্যান্য চরিত্রে থাকছেন সান বাংলারই পরিচিত মুখেরা। ‘অকাল বোধন’ সম্প্রচারিত হবে মহালয়ার দিন ভোরে, সান বাংলার পর্দায়।