একশো দিনের কাজের টাকা মিলতেই খুশির হাওয়া আদিবাসী অধ্যুষিত হুচুকপাড়ায়

আদিবাসী অধ্যুষিত হুচুকপাড়ায়, ৬০জনের জবকার্ড রয়েছে।

March 3, 2024 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: মোদী সরকারের ভরসায় না থেকে, রাজ্য নিজ উদ্যোগেই একশো দিনের কাজে বঞ্চিতদের টাকা মেটাচ্ছে। ইতিমধ্যেই প্রায় সকলের অ্যাকাউন্টে পৌঁছে গিয়েছে টাকা। টাকা মিলতেই খুশির হাওয়া আদিবাসী অধ্যুষিত হুচুকপাড়ায়। বারাবনি ব্লকের মির্জাপুর হুচুকপাড়ার বাসিন্দারা বলছেন, দিদির দেওয়া টাকায় সুরাহা হল।

বারাবনি ব্লকের মির্জাপুর হুচুকপাড়ার দরিদ্র বিধবা রীতা রায় ১০০দিনের প্রকল্পে পুকুর কাটার কাজ করেছিলেন। দুই মেয়েকে মানুষ করার স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু মোদী সরকারের তুঘলকি কর্মকান্ডে বাংলায় একশো দিনের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। মাটি কাটার মজুরি বাবদ পাওনা ১২হাজার টাকাও পাননি তিনি। মারণব্যাধি টিবিতে আক্রান্ত হন, মারা যান রীতাদেবী। দুই মেয়ে সরস্বতী ও শকুন্তলা মামাবাড়িতে থাকে। তাঁরা ১২হাজার ২০৭টাকা পেয়েছেন। সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়া সরস্বতী জানাচ্ছেন, তাঁর বোনের খুব শরীর খারাপ। টাকা পাওয়ায় তিনি বোনকে ডাক্তার দেখাবেন।

আদিবাসী অধ্যুষিত হুচুকপাড়ায়, ৬০জনের জবকার্ড রয়েছে। ২০২১ সালের শেষ দিকে ১০০দিনের কাজ প্রকল্পের আওতায় তিনটি পুকুর কাটার কাজ করেছিলেন তাঁরা। পুকুরগুলিতে মাছ চাষ শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এতদিনেও মাটি কাটার টাকা পায়নি আদিবাসি পরিবারগুলো। দু-আড়াই বছর পর তাঁরা রাজ্যের উদ্যোগে টাকা পেলেন। তাঁরাই জানাচ্ছেন, রাজ্য সরকারের উদ্যোগে কোনও পরিবার বঞ্চিত হয়নি। যাঁরা জীবিত আছেন তাঁরা তো টাকা পেয়েইছেন। মৃতদের পরিবারের লোকজনও বকেয়া টাকা পেয়েছে।

টাকা মিলতেই উচ্ছ্বসিত গোটা এলাকা। গ্রামে কার্যত উৎসবের আনন্দ। গ্রামবাসীরা চাইছেন, ১০০দিনের কাজ ফের শুরু হোক। স্থানীয়দের কথায়, দিদি ৫০দিন করে কাজ দেবেন বলছেন। তার টাকা যেন প্রতি সপ্তাহে দেওয়া হয়। তবে তাঁদের পরিবারের খুব উপকার হবে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen