বিরসা মুন্ডার মূর্তি নিয়ে নোংরা রাজনীতি চাইছে না আদিবাসী সমাজ

অমিত শাহকে চিঠি লেখার তোড়জোড় করে আদিবাসী সমাজের একাংশ।

November 21, 2020 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi
ছবি: সংগৃহীত

বিরসা মুন্ডাকে (Birsa Munda) রাজনীতি এবং সেই সংক্রান্ত প্রতিবাদ আর শুধু বাঁকুড়াতেই সীমাবদ্ধ রইল না। জঙ্গলমহলের বিভিন্ন জায়গায় এবার পোস্টার দিয়ে প্রতিবাদে নামল আদিবাসীদের (Tribal) অন্যান্য সংগঠন। তাঁদের শ্রদ্ধেয় নেতাকে নিয়ে অযথা রাজনীতি বন্ধ না হলে, বড়সড় আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে ‘ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহল’, ‘পশ্চিমবঙ্গ ভূমিজ ভাষা কমিটি’র মতো বৃহৎ সংগঠনগুলি। পোস্টারে স্পষ্ট লেখা – ‘বীর বিরসা মুন্ডাকে নিয়ে নোংরা রাজনীতি বন্ধ হোক।’ আরও লেখা, ‘বিরসা মূর্তিকে নিয়ে নোংরা রাজনীতির কারবারিরা সাবধান, হুঁশিয়ার।’ 

৫ নভেম্বর, বাঁকুড়ায় (Bankura) সাংগঠনিক বৈঠক করতে গিয়ে পুয়াবাগানে বিরসা মুন্ডার মূর্তিতে মাল্যদান করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah), যা নিয়ে পরবর্তী সময়ে বিতর্কের পারদ চড়ে বঙ্গ রাজনীতিতে। তৃণমূল (TMC) দাবি করে, ওই মূর্তি মোটেই বিরসা মুন্ডার নয়, এক আদিবাসী শিকারির। অমিত শাহ কতটা ভুল করেছেন, তা প্রমাণ করতে রীতিমতো মরিয়া হয়ে ওঠে ঘাসফুল শিবির। পরেরদিন ওই মূর্তি শুদ্ধ করে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। এর দিন দশেকের মধ্যে আবার বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকার এলাকায় উপস্থিত হয়ে ওই মূর্তির পাশে সুউচ্চ বিরসার মূর্তি স্থাপনের অঙ্গীকার করেন। সম্প্রতি বিরসা মুন্ডার মূর্তি নিয়ে এমন চাপানউতোরে শ্রদ্ধেয় নেতারই অসম্মান হচ্ছে, এই অভিযোগ অমিত শাহকে চিঠি লেখার তোড়জোড় করে আদিবাসী সমাজের একাংশ। তৃণমূল এতে ইন্ধন জুগিয়ে পোস্টকার্ড পৌঁছে দেয় ঘরে ঘরে।

এরপর বৃহস্পতি ও শুক্রবার দেখা গেল, বিরসা মুন্ডাকে নিয়ে রাজনীতির বিরোধিতায় জঙ্গলমহলের একাধিক জায়গায় পোস্টার। বিভিন্নভাবে তা লেখা থাকলেও, বক্তব্য একটাই – এই রাজনীতি তাঁদের পরিপন্থী। যারাই বিরসা মুন্ডাকে নিয়ে রাজনীতির চেষ্টা করুন, তাদের ধিক্কার। কোনও পোস্টারে আবার সাবধান করা হয়েছে রাজনীতির কারবারিদের। এসব বন্ধ না হলে, আগামীতে বড় আন্দোলনে নামবে আদিবাসী সমাজ, তাও বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আসলে, উনিশের লোকসভা ভোটে এই জঙ্গলমহলেই দারুণ ফলাফল করেছিল বিজেপি। ঘাসফুল কার্যত সাফ করে জঙ্গলমহলের অন্তর্গত প্রত্যেক আসনেই ফুটেছিল পদ্ম। একুশের ভোটে সেই হৃত জমি পুনরুদ্ধার যেমন তৃণমূলের বড় লক্ষ্য, তেমনই বিজেপির লক্ষ্য, তা ধরে রাখা। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিরসা মুন্ডাকে নিয়ে রাজনীতির আঁচ কমাচ্ছে না কোনও পক্ষই। দু’পক্ষের নেতাদেরই বক্তব্য, তাঁরা নন, রাজনীতি করছে অপরপক্ষ।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen