পঞ্চায়েত নির্বাচনে সংগঠন নয় ঢক্কানিনাদেই ভরসা রাখছে বিজেপি!

রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন আসন্ন। সম্ভবত নতুন বছরের শুরুতেই পঞ্চায়েত ভোট সম্পন্ন হবে।

November 19, 2022 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi
ছবি সৌজন্যে: Salil Bera

রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন আসন্ন। সম্ভবত নতুন বছরের শুরুতেই পঞ্চায়েত ভোট সম্পন্ন হবে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের শাসক, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিয়েছে।


বিধানসভা নির্বাচনে বঙ্গ বিজেপি’র আশাভঙ্গ হওয়ার পর এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনকে লক্ষ্য করে এগোতে চাইছে তারা। কিন্তু রাজ্যে দলীয় সংগঠন রীতিমতো নড়বড়ে অবস্থায় রয়েছে। ভাল ফলাফল নিয়েও বিশেষ আশা দেখছে না বিজেপি’র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। ফলে সংগঠন নয় ঢক্কানিনাদেই বিশেষ ভরসা রাখছে বিজেপি।


এই অবস্থায় আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য সংকল্পপত্র প্রকাশ করতে চলেছে বিজেপি। জানা যাচ্ছে, ওই সংকল্পপত্র অথবা ইস্তাহারে এক ডজন প্রতিশ্রুতির ঘোষণা করেছেন বিজেপির রাজ্য নেতারা। এ ব্যাপারে মিলেছে বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রাথমিক সম্মতিও।


ঘোষণাপত্রের একেবারে প্রথমেই থাকতে চলেছে দুর্নীতিমুক্ত এবং স্বচ্ছ পঞ্চায়েত ব্যবস্থার অঙ্গীকারের কথা। প্রতিশ্রুতির দু’নম্বরেই থাকবে প্রতি পঞ্চায়েত এলাকায় কার্যত মহল্লা ক্লিনিকের আদলে চিকিৎসা পরিষেবা ব্যবস্থা প্রদানের আশ্বাস। প্রস্তাবিত সেই সংকল্পপত্র কবে প্রকাশ করা হবে, সে ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। বিজেপির এক শীর্ষ নেতা শুধু জানিয়েছেন, ‘অন্তত ১১-১২টা প্রতিশ্রুতি সংকল্পপত্রে রাখব আমরা। শুরুতেই থাকবে স্বচ্ছ পঞ্চায়েতের কথা। পাশাপাশি রাজ্যের পঞ্চায়েত এলাকাগুলির প্রত্যেক বাসিন্দা যাতে চিকিৎসা পরিষেবা পান, সেই অঙ্গীকারও করা হবে।’


সূত্রের খবর, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নির্দেশ দিয়েছে, তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির বিরুদ্ধে কী-কী দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, তার তালিকা তৈরি করতে হবে। গ্রামে- গ্রামে গিয়ে করতে হবে তার প্রচার।প্রয়োজনে ইস্যুভিত্তিক সভা এবং মিছিল করতে হবে। জেলায়-জেলায় করতে হবে আইন অমান্য কর্মসূচিও। অর্থাৎ সংগঠনের অভাব পূরণের জন্য প্রচারের গিমিকের উপরই ভরসা করতে চাইছে বিজেপি নেতৃত্ব।


দলীয় সূত্রের খবর, প্রচারের সময় অযথা কু-মন্তব্য করে দলের নেতারা যাতে বিতর্কে জড়িয়ে না পড়েন, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত হতে চাইছে বিজেপি। উল্লেখ্য, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে মেদিনীপুরের জেলাশাসকে তুইতোকারি করে বাপবাপান্ত করার অভিযোগ উঠেছে। দিলীপ-উবাচ, ‘‘তুই (জেলাশাসক) ঠিক করার কে রে? তোর কি বাপের টাকা!’’ ফলে বিজেপি’র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যতই কু-মন্তব্য বলা থেকে বিরত থাকার কথা বলুক না কেন দিলীপ আছেন দিলীপেই!

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen