মহারাষ্ট্রের পর বিজেপির টার্গেট ঝাড়খণ্ড, রাজস্থান! শুভেন্দুর মন্তব্যে বিতর্ক
রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে, তা হলে কি বিরোধী সরকারে টানাপড়েন তৈরির পিছনে বিজেপির গোপন ষড়যন্ত্র রয়েছে তা কার্যত মেনে নিলেন বলে শুভেন্দু?

মমতার সরকার পড়বে বলে তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি জানান, ২০২৬ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা নয়, ২০২৪ সালেই বিসর্জন দিয়ে দেব। প্রথমে মহারাষ্ট্র, তারপর ঝাড়খণ্ড, তারপরই বাংলায় পৌঁছে যাব। সোমবার কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটার দু’টি সভা থেকে একই বক্তব্য রাখেন শুভেন্দু।
সম্প্রতি রাজ্যপাল জগদীপ খনখড়ের সাথে এক সাক্ষাতের পর থেকে শুভেন্দু একাধিক বার রাজ্য সরকার পতনের কথা বলেছেন। এই প্রসঙ্গে বিরোধী রাজ্য মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড ও রাজস্থান সরকার পতনের কথাও বলেছেন। রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে, তা হলে কি বিরোধী সরকারে টানাপড়েন তৈরির পিছনে বিজেপির গোপন ষড়যন্ত্র রয়েছে তা কার্যত মেনে নিলেন বলে শুভেন্দু?
মহারাষ্ট্রে শিবসেনা সরকারের সঙ্কটের পিছনেও কি বিজেপির হাত? বিজেপির অনেক প্রথম সারির অনেক নেতাই এ বিষয়টা এড়িয়ে গিয়ে বলেছেন নেতাই জানিয়েছেন, বিষয়টি তাঁরা কিছুই জানেন না। শুভেন্দু এ দিন কার্যত স্বীকার করেন, মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক সংকটের পিছনে বিজেপির হাত রয়েছে। তাঁর মতে, সবে তো মহারাষ্ট্র দিয়ে শুরু।বিক্ষুব্ধ শিবসেনা বিধায়কেরা বিজেপির সঙ্গেই রয়েছেন। যদিও রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, মহারাষ্ট্রে শিবসেনা সরকারের সঙ্কটের জন্য কোনও ভাবেই বিজেপি দায়ী নয়।
প্রসঙ্গত, রাজস্থানে ২০২৩ সালে বিধানসভা ভোট আর ঝাড়খণ্ডে ২০২৪ সালে। বাংলার বিধানসভা ভোট ২০২৬ সালে। কিন্তু সেখানে শুভেন্দু বারবার ২০২৪ সালে সরকার পতনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। বিভিন্ন বিরোধী রাজ্যে সরকার ফেলার জন্য কলকাঠি নাড়ছে বিজেপি। তৃণমূল এই বিষয়টি নিয়ে বিজেপির চক্রান্তের প্রশ্ন তুলেছে।
এর আগে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার দাবি করেছিলেন, অর্থবলে, বিভিন্ন এজেন্সি দিয়ে বিরোধী রাজ্যগুলির ক্ষমতা দখল করতে চাইছে মোদী সরকার। যা গণতন্ত্রের পক্ষে বিপদজনক। তাঁর সেই দাবিতেই প্রকৃতপক্ষে শীলমোহর পড়ল শুভেন্দু অধিকারীর কথায়।