সোমের পর মঙ্গলেও ধোঁয়াশার দাপট, দৃশ্যমানতা কমে একাধিক দুর্ঘটনা দিল্লিতে, মৃত অন্তত চার

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১০:৫২: দিল্লির দূষণে লাগাম পরানো যাচ্ছে না কোনওমতেই। ধোঁয়াশার দাপটে প্রতিদিনই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে, প্রাণ হারাচ্ছেন মানুষ। সোমবারের পর আজ মঙ্গলবারেও দিল্লি সহ গোটা উত্তর ভারতে ধোঁয়াশার বিড়ম্বনা অব্যাহত। আজ ভোরে মথুরায় দিল্লি-আগ্রা এক্সপ্রেসওয়েতে দৃশ্যমানতা কার্যত শূন্যে পৌঁছে গিয়েছিল। সেই সময় একাধিক বাস ও গাড়ির সংঘর্ষে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন।
জানা গিয়েছে, সাতটি বাস এবং তিনটি গাড়ির মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সব মিলিয়ে চারজন প্রাণ হারিয়েছেন। সংঘর্ষের জেরে বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন ধরে যায় বলে খবর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতাল ভর্তি করা হয়।
পরপর দুর্ঘটনার জেরে রাস্তায় যানবাহান চলাচল কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িগুলি সরিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে পুলিশ। পুলিশের বক্তব্য, কুয়াশার জেরে দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় সাতটি বাস ও তিন গাড়ির মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ফলে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২৫ জন আহত হয়েছে। দুর্ঘটনার জেরে বেশ কিছু গাড়িতে আগুনও ধরে গিয়েছে।
উল্লেখ্য, দূষণের জেরে নাজেহাল দিল্লি এবং পার্শ্ববর্তী এলাকা। সোমবারও দিল্লির বাতাসের গুণমান সূচক (AQI) ছিল ৪৫০-র উপরে। যার অর্থ বাতাসের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। সোমবার একাধিক বিমান এবং ট্রেন বাতিল হয়। প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিমানও দেরিতে উড়েছে। কুয়াশার জেরে সোমবার সকালেও দিল্লি-মুম্বই জাতীয় সড়কে পরপর কুড়িটি গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। দুর্ঘটনার চারজনের মৃত্যু হয়েছিল। মঙ্গলবারেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল।
দূষণ মোকাবিলায় ডাহা ফেল করেছে বিজেপি শাসিত রেখা গুপ্তার সরকার। কোনও মতে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাচ্ছে না দিল্লিতে। দূষণের জেরে দিল্লিতে ধোঁয়াশার আস্তরণ তৈরি হচ্ছে। তাতেই একের পর এক বিপত্তি ঘটছে। উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে পরিস্থিতি। দুর্ঘটনা এড়াতে দিল্লিবাসীকে বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছে প্রশাসন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া গাড়ি রাস্তায় নামতে বারণ করা হয়েছে। ধীর গতিতে গাড়ি চালানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দূষণ না-ঠেকাতে পারলে দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হবে না।