দিল্লিতে জঙ্গি হামলার পরেই ভারত-আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধের হুঙ্কার, প্রত্যাঘাতের আশঙ্কায় মুখর পাক মন্ত্রী?

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২১:৩০: দিল্লিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর ফের উপমহাদেশে বাড়ল অস্থিরতা। ইসলামাবাদেও আত্মঘাতী হামলায় ১২ জনের মৃত্যু, আহত অন্তত ৩৬। এই উত্তেজনাপূর্ণ আবহেই নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফ (Khawaja Muhammad Asif)। তাঁর বক্তব্য, “আমরা একই সঙ্গে দুই ফ্রন্টে লড়তে প্রস্তুত- পূর্বদিকে ভারত এবং পশ্চিমদিকে আফগানিস্তান। আল্লা প্রথম দফায় সাহায্য করেছেন, দ্বিতীয় দফাতেও করবেন।”
দিল্লি বিস্ফোরণের (Delhi Blust) পরদিনই ইসলামাবাদের (Islamabad) এই হামলার দায় স্বীকার করেছে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (TTP)। ইসলামাবাদ সরকারের দাবি, হামলার পেছনে আফগানিস্তান ও ভারতের হাত রয়েছে। যদিও এই দাবির পক্ষে কোনও প্রমাণ এখনও সামনে আনতে পারেনি পাকিস্তান।
বিশ্লেষকদের মতে, আফগানিস্তান (Afghanistan) ও ভারতের সম্ভাব্য পালটা পদক্ষেপের আশঙ্কাতেই এমন যুদ্ধোন্মাদনা তৈরি করছেন খোয়াজা আসিফ। তাঁর এই মন্তব্য মূলত অভ্যন্তরীণ চাপ সামলাতে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শক্তি প্রদর্শনের উদ্দেশ্যেই করা হয়েছে। এক বিশেষজ্ঞের কথায়, “ইসলামাবাদে হামলার পর প্রশাসনের ওপর চাপ বেড়েছে। সেই চাপ কাটাতেই যুদ্ধ হুঙ্কার তুলে জনমত ঘোরানোর চেষ্টা হচ্ছে।”
পহেলগাঁও হামলার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) স্পষ্ট ভাষায় বলেছিলেন, “ভারতের মাটিতে জঙ্গি হামলা মানেই ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা।” দিল্লি বিস্ফোরণকেও কেন্দ্র সরকার সন্ত্রাসী হামলা বলেই ঘোষণা করেছে। তাই জল্পনা ঘনিয়েছে- ভারত কি আবারও ‘অপারেশন সিঁদুর’-র (Operation Sindoor) ধাঁচে প্রত্যাঘাতমূলক পদক্ষেপ নেবে?
অন্যদিকে, গত মাসেই কাবুল ও পাকটিকায় জঙ্গি হামলার পর দুই দেশের মধ্যে সীমান্তে উত্তেজনা তুঙ্গে ওঠে। তবে রক্তক্ষয়ী সংঘাত ঠেকাতে আপাতত যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে পাকিস্তান (Pakistan) ও আফগানিস্তান। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য যে নতুন করে অগ্নিসংযোগ ঘটাতে পারে, তা বলাই বাহুল্য।