ফের ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ ও ‘সমাজতান্ত্রিক’ শব্দ দুটি বাদের ডাক, সংবিধান বদলাতে মরিয়া RSS?

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি, ১১:৪৭: সংবিধান পাল্টে ফেলাই কি সঙ্ঘের লুকায়িত লক্ষ্য? তা পূরণ করতে মরিয়া বিজেপি সরকার? চব্বিশের লোকসভা ভোটের আগে বিজেপির প্রথম সারির নেতারা জিগির তুলেছিলেন চারশো পেরোলেই বদলে যাবে সংবিধান। লারার মতো বিজেপির কপালে চারশো করার গৌরব জোটেনি! ফলে সংবিধান বদলের সুপ্ত বাসনা ক্ষণিকের জন্য লুপ্ত হয়। ফের এবার মাথাচাড়া দিয়েছে সংবিধান বদলের চেষ্টা।
বৃহস্পতিবার, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সরকার্যবাহ অর্থাৎ সাধারণ সম্পাদক দত্তাত্রেয় হোসাবলে ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ এবং ‘সমাজতান্ত্রিক’ শব্দ দুটি সংবিধান থেকে বাদ দেওয়ার ডাক দেন। প্রসঙ্গত, জরুরি অবস্থার সময় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সরকার দেশের সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ এবং ‘সমাজতান্ত্রিক’ শব্দ দুটি যোগ করেছিল। ১৯৭৬ সালে সংবিধান সংশোধন করে পৃথিবীর দীর্ঘতম লিখিত সংবিধানের প্রস্তাবনায় যোগ হয়েছিল সমাজতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ শব্দ দুটি। যার ফলে ভারত সার্বভৌম, গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র থেকে সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র-এ পরিণত হয়।
জরুরি অবস্থার ৫০ বছর শীর্ষক এক আলোচনাসভায় হোসাবলে প্রশ্ন তোলেন, “জরুরি অবস্থার সময় কংগ্রেস গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল। সংবিধানের প্রস্তাবনায় তখন যে শব্দ যুক্ত করা হয়েছিল, তা কি আর বহাল রাখা উচিত?” ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন ইন্দিরা সরকার দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিল। ১৯৭৭-র ২১ মার্চ পর্যন্ত প্রায় ২১ মাস ধরে চলা জরুরি অবস্থাকে ভারতীয় গণতন্ত্রের অন্ধকারতম অধ্যায় বলেন আখ্যা দেন সঙ্ঘের শীর্ষস্থানীয় নেতা।
এর আগেও বিজেপি নেতারা ‘সমাজতান্ত্রিক’ ও ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দ দুটি সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন। গত বছর শীর্ষ আদালত সেই আর্জি খারিজ করে দিয়েছিল। ফের বিতর্ক উস্কে দিলেন সঙ্ঘের নেতা।
তবে কি সঙ্ঘ চায় সংবিধানের বদল?