অগ্নিপথ বিতর্কে কৈলাশের মন্তব্যের বিরুদ্ধে ত্রিপুরায় তোপ অভিষেকের

অগ্নিপথ নিয়ে কৈলাশ বিজিয়বর্গীয়র বিতর্কিত মন্তব্যকে এদিন তীব্রভাবে আক্রমণে করেন অভিষেক।

June 20, 2022 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

উপনির্বাচনের প্রচারে শেষ মুহূর্তে ত্রিপুরা গিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশজুড়ে জ্বলছে অগ্নিপথের আগুন। অগ্নিপথ নিয়ে কৈলাশ বিজিয়বর্গীয়র বিতর্কিত মন্তব্যকে এদিন তীব্রভাবে আক্রমণে করেন অভিষেক।

অভিষেক বলেন, “চাকরিপ্রার্থীদের নিয়ে কৈলাশ বিজয়বর্গীয় যা বলেছেন, তার নিন্দা করার ভাষা আমার কাছে নেই। বিগত আট বছরে কোনরকম আলোচনা-পরামর্শ ছাড়া প্রকল্পের ঘোষণা করা মোদী সরকারের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। নোটবন্দী, সিএএ এবং কৃষি আইনের সময় একইভাবে মোদী সরকার একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”

অভিষেক অভিযোগ করেন, সেনাআবেগকে ভোটে হাতিয়ার রূপে ব্যবহার করে বিজেপি। তিনি বলেন, “বিজেপি নির্বাচনে জেতার জন্যে দেশবাসীর সেনাবাহিনীর প্রতি আবেগকে ব্যবহার করে আর ভোট মিটতেই মোদী সরকার বলে চার বছর পরে চাকরি চলে যাওয়ার পর অগ্নিবীরদের কেবলমাত্র বিজেপি অফিসে নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে নিয়োগ করা হবে। এর চেয়ে লজ্জাজনক আর কিছু হতে পারে না।”

অভিষেক আক্রমণ শানিয়ে বলেন, “বিজেপি নেতার ছেলে বিসিসিআই সেক্রেটারি এবং এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সভাপতি হবেন৷ বিজয়বর্গীয়র ছেলে একজন বিধায়ক যে প্রকাশ্যে মানুষকে আক্রমণ করে। কিন্তু গরীব ও সাধারণ মানুষের ছেলে কেবল নিরাপত্তারক্ষী হবেন? তার মানে তাদের কি ভাল জায়গায় কাজ করার অধিকার নেই? তাদের কি সেনাবাহিনী ও দেশের জন্য কাজ করার অধিকার নেই?”

মোদী সরকারের মন্ত্রী জি. কিষাণ রেড্ডি অগ্নিবীরদের ইলেকট্রিশিয়ান এবং প্লাম্বার হওয়ার জন্যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে৷ তৃণমূল সাংসদের সাফ প্রশ্ন, “এই সব কাজের জন্যেই কি মোদী সরকার অগ্নিবীর তৈরি করছে? আমরা এর নিন্দা করি। এমন মত পোষণকারী নেতাদের অবিলম্বে দল থেকে বহিষ্কার করা উচিত।” অভিষেকের দাবি, “বিজেপি নির্বাচনের সময় ভোট জিততে বালাকোট আক্রমণকে ব্যবহার করেছিল এবং তারপরে সেগুলি ভুলে গিয়েছিল। ২০২৪ সালে লোকসভার নির্বাচনের তিন মাস আগে বিজেপির সেনাবাহিনীকে প্রয়োজন পড়বে।”

অভিষেকের কথায়, যে দুই নেতা এমন ধরনের আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন তাদের দেশ থেকে বিতাড়িত করা উচিত। এরা রোহিঙ্গাদের নিয়ে কথা বলে, বাস্তবে তাদের পার্টি থেকে বহিষ্কার করা উচিত কারণ, তারা দেশের সেনাবাহিনী এবং আমাদের সৈন্যদের অপমান করেছে। তিনি আরও যোগ করেন, “আমরা বিশ্বাস করি প্রত্যেকেরই প্রতিবাদ করার অধিকার আছে। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন হওয়া উচিত এবং এমন নৈরাজ্য কখনও কাম্য নয়।”

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen