Ahmedabad Plane Crash: দুর্ঘটনার পিছনে ষড়যন্ত্র থাকতে পারে, এরকম কেন মনে করা হচ্ছে?

এআমেদাবাদ থেকে লন্ডন ফ্লাইটের ইঞ্জিন টেক অফের সঙ্গে সঙ্গে পাওয়ার লস করল কেন? গ্রাউন্ড স্টাফ সিকিওরিটি ক্লিয়ারেন্স টিমে ক’জন ছিল?

June 13, 2025 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi
দুর্ঘটনার পিছনে ষড়যন্ত্র থাকতে পারে, এরকম কেন মনে করা হচ্ছে?

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১১:০০: বৃহস্পতিবার দুপুরে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার আহমেদাবাদে ভয়াবহ দুর্ঘটনার (Plane Crash) কবলে। আহমেদাবাদের সরদার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ঠিক বাইরে মেঘানি নগরে আবাসিক এলাকার উপর ভেঙে পড়ে। মুহূর্তেই আগুন জ্বলে ওঠে গোটা বিমানে। আকাশ ছেঁয়ে যায় ঘন কালো ধোঁয়ায়। উদ্ধারকাজ জটিল হয়ে ওঠে।

বিমানে মোট ২৪২ জন আরোহী ছিলেন, যার মধ্যে ছিলেন ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ নাগরিক, ১ জন কানাডিয়ান এবং ৭ জন পর্তুগিজ নাগরিক। এদের মধ্যে একজন বাদে বাকি সকলেই মৃত বলে মনে করা হচ্ছে।

২০২৫ সালের শুরু থেকে লাগাতার টেকনিক্যাল ফল্ট হয়ে চলেছে বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনারে। মাত্র ২৫ দিনের মধ্যে নিয়ম করে হাইড্রলিক লিক, ফ্ল্যাপ ম্যালফাংশন এবং ইঞ্জিন সমস্যা। এই সবকিছুর যোগফল কি কোনও ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দিচ্ছে? নাকি গাফিলতি? ইচ্ছাকৃত? নাকি অনিচ্ছাকৃত?

খালিস্তানি জঙ্গি শিখস ফর জাস্টিস সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা গুরপতওয়ান্ত সিং পান্নুন ২০২৩’এর নভেম্বরে হুমকি দিয়েছিল, এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান উড়িয়ে দেওয়া হবে। ভিডিও বার্তায় বলেছিল, ওই বছরের ১৯ নভেম্বরের পর যেন কোনও শিখ এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে না ওঠে। এটাই হতে চলেছে শিখ স্বাধীনতার যুদ্ধের শেষ পর্ব। ভারত সরকারকে চরম শিক্ষা দেওয়ার।

২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে হঠাৎ শুরু হয়েছিল লাগাতার দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরে থ্রেট কল! বিমানে বিস্ফোরক আছে। তল্লাশি করে কিছু‌ পাওয়া যায়নি কোনওবারই। সবথেকে বেশি এই হোক্স কল এসেছে কোন এয়ারলাইন্সে? এয়ার ইন্ডিয়ায়। অক্টোবরে ১৩ বার। আর পান্নুনের হুমকি? ছিল এবছরও।

এয়ারক্র্যাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো বিস্তারিত তদন্ত শুরু করতে চলেছে। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ’ও তদন্তে যুক্ত হবে। সবথেকে উল্লেখযোগ্য, ভারতে আজকালের মধ্যে আসবে মার্কিন তদন্তকারী সংস্থা। টেক অফের সঙ্গে সঙ্গে ‘মে ডে’ কল, আর এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারের সঙ্গে কথা বলতে না পারা। তারপর ক্র্যাশ।

এয়ার ইন্ডিয়া ড্রিমলা‌ইনারের ভাগ্যে টেক অফের পরের আড়াই মিনিটে ঠিক কী ঘটেছিল? এই তাবৎ ফ্যাক্টরগুলিকে জোড়া দিয়ে উত্তর খুঁজতে নামছে ভারত ও আমেরিকার যৌথ তদন্তকারী টিম। নিছক দুর্ঘটনা? নাকি নেপথ্যে সন্ত্রাস বা অন্তর্ঘাত? বব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনালের যা বহুদিনের টার্গেট। তারা এখন আবার হাত মিলিয়েছে লস্করের সঙ্গে।

লং ডিসট্যান্স রুট। ভারত থেকে লন্ডন। অর্থাৎ ফুয়েল ট্যাঙ্ক পূর্ণ। কারণ নন স্টপ ফ্লাইট। সব থেকে আধুনিক পর্যায়ের এয়ারক্র্যাফট হল বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার।

কার্বন ফাইবার স্ট্রাকচার, রোলস রয়েস কিংবা জেনারেল ইলেকট্রিকের জেন-এক্স ইঞ্জিন। এহেন ড্রিমলাইনারের আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের ইঞ্জিনের ফুয়েল সাপ্লাই, ইঞ্জিন পাওয়ার এবং টেম্পারেচার ভারসাম্য দফায় দফায় পরীক্ষা করা হয় যে কোনও টেক অফের আগে।

অথচ আমেদাবাদ থেকে লন্ডন ফ্লাইটের ইঞ্জিন টেক অফের সঙ্গে সঙ্গে পাওয়ার লস করল কেন? গ্রাউন্ড স্টাফ সিকিওরিটি ক্লিয়ারেন্স টিমে ক’জন ছিল? প্রত্যেকের জেরা শুরু হয়েছে। করা হচ্ছে মোবাইল যাচাই। প্রাথমিক আভাস মিলবে ব্ল্যাক বক্স থেকে। সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen