Ahmedabad Plane Crash: প্রশ্নের মুখে বোয়িং-এর ফুয়েল কন্ট্রোল সুইচ, ৭ বছর আগেই সতর্ক করেছিল FAA

২০১৮ সালেই বোয়িং ৭৩৭ বিমানের একটি গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল মার্কিন ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (FAA)।

July 12, 2025 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৫:৩৪: আহমেদাবাদ বিমানবন্দরে এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৩৭ বিমানের দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে উঠে আসছে ফুয়েল কন্ট্রোল সুইচের ত্রুটি। প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে, উড়ানের ঠিক আগেই ইঞ্জিনে জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়, কারণ ফুয়েল সুইচ ‘রান’ থেকে ‘কাটঅফ’ অবস্থায় চলে গিয়েছিল। এই ঘটনাই ৩২ সেকেন্ডের মধ্যে ইঞ্জিন বিকল হওয়ার জন্য দায়ী।

তদন্তকারী সংস্থা এয়ারক্রাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরোর রিপোর্টে ধরা পড়েছে, অভিজ্ঞ পাইলট সুমিত সভরওয়াল (৮২০০ ঘণ্টা ফ্লাইং অভিজ্ঞতা) ও সহকারী পাইলট ক্লাইভ কুন্দার (১১০০ ঘণ্টা) মতো পাইলটরা নিজেরাও বুঝতে পারেননি কিভাবে সুইচ বন্ধ হয়ে গেল। ককপিট ভয়েস রেকর্ডারে এক পাইলটকে বলতে শোনা গেছে, “তুমি জ্বালানি বন্ধ করে দিলে কেন?” উত্তরে অন্য পাইলট বলেন, “আমি কিছু বন্ধ করিনি।” এত অভিজ্ঞ পাইলটদের কাছ থেকে ‘মানবিক ভুল’ অস্বাভাবিক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বার্ড হিট বা অন্য কোনও বাহ্যিক কারণের প্রমাণ না থাকায় যান্ত্রিক ত্রুটিই এখন তদন্তের কেন্দ্রে।

২০১৮ সালেই বোয়িং ৭৩৭ বিমানের একটি গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল মার্কিন ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (FAA)। তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ ছিল, কিছু বোয়িং ৭৩৭ বিমানে এমন ফুয়েল কন্ট্রোল সুইচ ব্যবহার করা হয়েছে, যার ‘লকিং ফিচার’ ছাড়াই ইনস্টল করা হয়েছে। FAA তখন একে সম্ভাব্য ঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত করলেও ‘সেই সতর্কতা গুরুত্ব পায়নি। আজ যে মডেলের বিমানে দুর্ঘটনা ঘটেছে, তাতেও সেই একই ধরনের সুইচ ব্যবহৃত হয়েছিল।

ফলে সবমিলিয়ে, ফের সামনে এসেছে পুরনো প্রশ্ন—বোয়িং বিমানের যান্ত্রিক নিরাপত্তা কি যথেষ্ট, নাকি আগেই সাবধান করা সত্ত্বেও এড়ানো গেল না আর একটি দুর্ঘটনা?

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen