সব আবেদনকারীই পেয়েছেন স্বাস্থ্য সাথী কার্ড

স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প নিয়ে রাজ্যবাসীর উৎসাহ তুঙ্গে রয়েছে। এই কার্ড দ্রুত হাতে পাওয়ার জন্য প্রতিদিন হাজার-হাজার মানুষ লাইনে দাঁড়াচ্ছেন।

January 6, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

স্বাস্থ্যসাথীর (Swasthyasathi) কার্ড দ্রুত মানুষের হাতে তুলে দিতে বিভিন্ন জেলার মধ্যে জোর টক্কর শুরু হয়েছে। গত দু’দিন ধরে রাজ্যের মধ্যে সব থেকে বেশি কার্ড উপভোক্তাদের হাতে তুলে দিয়ে প্রথম স্থানে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। সার্বিকভাবে মোট কার্ড দেওয়ার নিরিখে প্রথম হওয়া মুর্শিদাবাদ জেলার ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছে এই জেলা। কার্ড দেওয়ার গতি আরও বাড়াতে প্রশাসনিক স্তরে যুদ্ধকালীন তৎপরতা শুরু হয়েছে। আরও বেশি সংখ্যক মেশিন এনে কাজের গতি বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। 

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প নিয়ে রাজ্যবাসীর উৎসাহ তুঙ্গে রয়েছে। এই কার্ড দ্রুত হাতে পাওয়ার জন্য প্রতিদিন হাজার-হাজার মানুষ লাইনে দাঁড়াচ্ছেন। এখনও পর্যন্ত গোটা রাজ্যে মোট ১৮ লক্ষ ২৩ হাজার ৬৩৮ পরিবারের হাতে এই কার্ড তুলে দেওয়া হয়েছে। উপভোক্তাদের হাতে এই কার্ড তুলে দেওয়ার নিরিখে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত প্রথম স্থানে রয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলা। সোমবারের হিসেব অনুযায়ী, সেখানে মোট ২ লক্ষ ৪৭ হাজার ৫৮ পরিবারের হাতে এই কার্ড তুলে দেওয়া হয়েছে। সেখানে উত্তর ২৪পরগনা জেলা প্রশাসন মোট ২ লক্ষ ১৪ হাজার ২১৬ পরিবারের হাতে এই কার্ড তুলে দিয়েছে।

কার্ড দেওয়ার নিরিখে তিন নম্বরে থাকা দক্ষিণ ২৪ পরগনায় মোট ১ লক্ষ ২৮ হাজার ৮৫৪ পরিবারের হাতে কার্ড তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে গত কয়েক দিন ধরে দৈনিক কার্ড দেওয়ার নিরিখে মুর্শিদাবাদ জেলার সঙ্গে উত্তর ২৪পরগনার কার্যত সেয়ানে সেয়ানে লড়াই চলছে। মুর্শিদাবাদ জেলায় শনিবার ১৩ হাজার ৪৯৪, রবিবার ১১ হাজার ২৪৪ ও সোমবার ১৪ হাজার ২৪৬ পরিবারের হাতে কার্ড তুলে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় শনিবার ১২ হাজার ৭৪৭, রবিবার ১৩ হাজার ৬৯৭ ও সোমবার ১৪ হাজার ৪২১ পরিবারের হাতে কার্ড তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে বেশ কয়েকটি জেলায় এই কার্ড দেওয়ার সংখ্যা ৫০ হাজার পেরয়নি।

উত্তর ২৪পরগনা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে,  উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় ১১ ডিসেম্বর থেকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দেওয়ার কাজ শুরু হয়। প্রথম পাঁচ দিন মাত্র ২০টি মেশিনে কাজ করা হচ্ছিল। কিন্তু জেলার বিভিন্ন পুরসভা ও ব্লকের সামনে লম্বা লাইন পড়ছিল। সে কারণে ধাপে ধাপে এখন মোট ৭৫টি মেশিন কাজে লাগানো হয়েছে। দ্রুত মানুষের হাতে কার্ড তুলে দেওয়ার জন্য আরও ২৫টি মেশিনকে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

জেলাভিত্তিক কার্ড দেওয়ার নিরিখে প্রথম স্থানে রয়েছে বারাসত পুরসভা। সোমবার পর্যন্ত সেখানে মোট ৯ হাজার ৯২২ পরিবারের হাতে এই কার্ড তুলে দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আমডাঙা ব্লকে ৯ হাজার ৭৪০ পরিবারের হাতে এই কার্ড তুলে দেওয়া হয়েছে। জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা বলেন, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে মানুষের মধ্যে মারাত্মক উৎসাহ রয়েছে। প্রত্যেকেই দ্রুত ওই কার্ড হাতে পেতে চাইছেন। আমরা প্রতিটি পুরসভা ও ব্লককে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কার্ড তৈরি করে মানুষের হাতে তুলে দেওয়ার কথা বলেছি। দ্রুত এই কাজ সম্পন্ন করতে আরও বেশি সংখ্যক মেশিন ও কর্মীকে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen