পুজো উদ্বোধনে এসে বিদ্যাসাগর স্তূতি অমিত শাহ’র মুখে, মূর্তি ভাঙার ‘ক্ষত’ মেরামতের চেষ্টা!

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৪:০৬: আজ শুক্রবার সকালে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এবারের থিম ‘অপারেশন সিঁদুর’, যা রাতে আলো ও শব্দপ্রভাবের মাধ্যমে মণ্ডপে ফুটিয়ে তোলা হবে। সেই দৃশ্যই ল্যাপটপে বসে দেখেন শাহ। এদিন কালীঘাট মন্দিরে গিয়েও পুজো দেন তিনি
ঘটনাচক্রে আজ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মবার্ষিকী। পুজো উদ্বোধনের মঞ্চ থেকেই অমিত শাহ বিদ্যাসাগরকে স্মরণ করলেন। বলা ভালো, ভূয়সী প্রশংসা করলেন ইশ্বরচন্দ্রের। যদিও সবটাই ৬ বছর আগের ‘পাপক্ষয়ে’র চেষ্টা হিসাবে দেখছেন অনেকেই।
এদিন সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো উদ্বোধনের মঞ্চ থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলার শিক্ষার প্রসারে বিদ্যাসাগরের ভূমিকা অবিস্মরণীয়। শাহের কথায়, “শুধু বাংলা নয়, গোটা দেশে শিক্ষার প্রগতি আর নারীশিক্ষার জন্য বিদ্যাসাগর যে অবদান রেখেছেন, তা ভোলার নয়। বাংলার সংস্কৃতি, বাংলার ব্যকরণ আর নারী শিক্ষার প্রসারে পুরো জীবন সমর্পণ করেছেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। আজ আমি আমার তরফে আর বিজেপির কোটি কোটি কর্মীর তরফে বিদ্যাসাগরকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাচ্ছি।”
শুধু তাই নয়, আরও বললেন, আমি এইমাত্র মায়ের পূজা করেছি। প্রার্থনা করেছি, এই ভোটের পর বাংলায় এমন সরকার গড়ে উঠুক, যা সোনার বাংলা তৈরি করতে পারবে। সুরক্ষিত, সুজলাং-সুফলাং বাংলা হবে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কল্পনার বাংলা গড়ে তোলা সম্ভব হবে।’ এই বক্তব্য শোনার পর অনেকেই বলছেন, বোঝা যাচ্ছে ২০২৬-এর নির্বাচনের হাওয়া বইতে শুরু করেছে!
বিদ্যাসাগর স্মরণের নেপথ্যে রাজনীতি দেখছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের। ৬ বছর আগের এক বিতর্ক ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হিসাবে দেখছেন অনেকে। ২০১৯ সালে ভোটের প্রচারে কলকাতায় এসেছিলেন অমিত শাহ। অভিযোগ, বিদ্যাসাগর কলেজের সামনে দিয়ে তাঁর রোড-শো যাওয়ার সময় সেই মিছিল থেকে প্ররোচনা দিয়ে দলের কর্মী-সমর্থকদের উত্তেজিত করে হামলা চালানো হয়েছিল বিদ্যাসাগর কলেজে। ভেঙে ফেলা হয় বিদ্যাসাগরের মূর্তি। ২০০ বছরের জন্মবার্ষিকী ছিল সে বছর। রাজনীতির আবহে তুমুল বিতর্ক দানা বাঁধে। পরে রাজনৈতিকভাবে ক্ষতির মুখেও পড়তে হয় বিজেপিকে।