Census: জনগণনার তথ্যভাণ্ডার কি সুরক্ষিত থাকবে? উঠছে প্রশ্ন
রবিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব গোবিন্দ মোহন এবং অন্য ঊর্ধ্বতন কর্তাদের সঙ্গে জনগণনার প্রস্তুতি বৈঠক সারলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শেষ জনগণনা হয়েছিল ২০১১ সালে। তার দীর্ঘ ১৬ বছর পর ২০২৭ সালে ফের জনগণনা হতে চলেছে দেশে। তার আগে আসন্ন জনগণনার যাবতীয় প্রস্তুতি পর্যালোচনা করে দেখলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১১:০০: রবিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব গোবিন্দ মোহন এবং অন্য ঊর্ধ্বতন কর্তাদের সঙ্গে জনগণনার প্রস্তুতি বৈঠক সারলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শেষ জনগণনা হয়েছিল ২০১১ সালে। তার দীর্ঘ ১৬ বছর পর ২০২৭ সালে ফের জনগণনা হতে চলেছে দেশে। তার আগে আসন্ন জনগণনার যাবতীয় প্রস্তুতি পর্যালোচনা করে দেখলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
ভারতের সবচেয়ে বড় তথ্যভাণ্ডার কী? সেন্সাস রিপোর্ট। সাধারণ মানুষের প্রত্যেকটা খুঁটিনাটি তথ্য পাওয়া যায় এখানেই। আসন্ন জনগণনা তাই যত না গুরুত্বপূর্ণ, তার থেকে বেশি চ্যালেঞ্জেরও। কারণ, এবার সবটাই হবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে। এবং কোডে। যেমন, হিন্দু হলে ‘১’। মুসলমান হলে ‘২’ ইত্যাদি। রাজ্যে রাজ্যে অগুনতি সরকারি কর্মী-অফিসার নামবেন কাজে। তথ্য সংগ্রহ করবেন। তা আপডেট করবেন নিজেদের ডিভাইসের অ্যাপে। সেই তথ্য সরাসরি আপলোড হবে দিল্লির মান সিং রোডে ‘জনগণনা ভবনে’র সেন্ট্রাল সার্ভারে। প্রশ্ন একটাই, কোনওভাবে এই ডেটা ‘লিক’ হয়ে যাবে না তো? এখন খোলা বাজারে বিক্রি হয় মানুষের ‘গোপন’ তথ্য। জনগণনাতেও কিন্তু প্রত্যেকের তথ্যই ‘গোপনীয়’। ফর্মের উপরে তা লেখাও থাকে। সবই যেখানে মানুষের উপর নির্ভরশীল, তথ্য পাচারের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না কেন্দ্র। সেন্সাস ডেটা সুরক্ষিত করতে শুরু হয়েছে দফায় দফায় বৈঠক। চ্যালেঞ্জ একটাই—‘গোপন’ তথ্য সুরক্ষিত রাখা।

আজ, সোমবার প্রকাশ হবে জনগণনা সংক্রান্ত গেজেট বিজ্ঞপ্তি। ২০২৬ সালে শুরু হয়ে দুই পর্বে সেন্সাসের কাজ শেষ হবে ২০২৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি। তারপর যাবতীয় তথ্য পর্যালোচনার পর রিপোর্ট প্রকাশ হবে ওই বছরেরই মার্চ মাসের পর। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর মঙ্গলবার কমিশনারকে ডেকেছেন কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সচিবও। লক্ষ্য হল, ডিজিটাল ভারতে সেন্সাসকে ডিজিটালি সুরক্ষিত রাখা। এবং অবশ্যই তথ্য যাচাই। কোনওভাবেই যেন ভুল তথ্য সার্ভারে না ওঠে। যেমন, বাবার বয়স ৪০। ছেলে ২২। কিংবা পরিবারের তিনজন হিন্দু। একজন খ্রিস্টান। …কেন্দ্রীয় স্তরে স্ক্রুটিনির পর এমন কোনও অস্বাভাবিক বা সন্দেহজনক তথ্য মিললেই সেই পরিবারের কাছে ফের যাচাইয়ে যাবেন জনগণনা কর্মী। দেখবেন, কোনও ভুল তথ্য নেওয়া হয়েছে কি না। পালক পিতার কাছে থাকেন? ধর্ম পরিবর্তন হয়েছে? যাচাই হবে সবটাই।

উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এবার জনগণনার নথিতে যুক্ত হবে ‘অন্যান্য’ (আদার্স) তথা সাধারণের নির্দিষ্ট জাতি বা কাস্ট। হিন্দু, শিখ এবং বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বরাই কেবলমাত্র তফসিলি জাতিভুক্ত হয়। উপজাতি যে কোনও ধর্মাবলম্বীই হতে পারেন। সরকার ধন্দে আছে, ‘অন্য’দের মধ্যে যদি কেউ জাতি জানাতে না চান, তাহলে কী হবে? সেই ঘর কি ফাঁকা রাখা হবে?
রবিবার এক্স হ্যান্ডেল জনগণনা প্রস্তুতি বৈঠকের ছবি দিয়ে অমিত শাহ জানিয়েছেন, “১৬তম জনগণনার প্রস্তুতি বৈঠক সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। এই প্রথম আদমশুমারিতে জাতিগণনাকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ৩৪ লক্ষেরও বেশি গণনাকারী এবং তত্ত্বাবধায়ক এবং প্রায় ১.৩ লক্ষ আদমশুমারি কর্মী অত্যাধুনিক মোবাইল, ডিজিটাল গ্যাজেট ব্যবহার করে এই কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।” তবে জনগণনা তথ্যভাণ্ডার কতটা সুরক্ষিত থাকবে, তা নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।