আম্পান বিপর্যয়: ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক কিছু তথ্য

May 22, 2020 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

আম্পান চলে যাওয়ার ৩৬ ঘন্টা পরেও স্পষ্ট নয় বিভিন্ন জেলার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ। উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা এখনও বিচ্ছিন্ন। বহু জায়গাতেই এখনও পৌঁছতে পারেনি প্রশাসন বা উদ্ধারকারি দল।

বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত নবান্ন এবং জেলা প্রশাসন সূত্রে যানা গিয়েছে এই তিন জেলার বিভিন্ন অংশের একটি প্রাথমিক চিত্র:

• দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী ব্লকের এক কিলোমিটারের বেশি নদীবাঁধ ভেঙে গিয়েছে। প্রায় গোটা এলাকা প্লাবিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

• পাথরপ্রতিমার সুরেন্দ্রনগরে নদীবাঁধ ভেঙে সমস্ত চাষের জমিতে নোনাজল ঢুকে গিয়েছে।

• বালি দ্বীপে এখনও পর্যন্ত নদীবাঁধ ভাঙার কোনও খবর নেই। তবে, ঝড়ের দাপটে সমস্ত কাঁচা বাড়ি ধুলিসাৎ হয়ে গিয়েছে।

• সাগর ব্লকের কচুখালি, বঙ্কিমনগর, কশতলা, বটখালি, ঘোড়ামারা, মনসাদ্বীপ, সুমতিনগরে নদীবাঁধ ভেঙে গিয়েছে।

• কুলতলি ব্লকের মেইপতি, দেবীপুর, হুকোহরনিয়া, দেউলবাড়ি, কৈখালি, বঙ্ঘেরি, ভুবনেশ্বরী এবং আঁধারিয়া এই সব জায়গায় নদীবাঁধ ভেঙে গিয়েছে।

• গোসাবা ব্লকের জ্যোতিরামপুর, সোনাগাঁ, মন্মথনগর, বাগবাগান, গ্লাশোখালিতে নদীবাঁধ ভেঙে গিয়েছে।

• কাকদ্বীপ, নামখানা, সাতজেলিয়া, হেমনগর (বসিরহাট), কনকনগরেও ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রশাসন বা উদ্ধারকারি দল এখনও এই সব এলাকায় পৌঁছতে পারেনি।

• কাঁথি (পূর্ব মেদিনীপুর), দিঘা ঝড়ের দাপটে সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত।

ঝড়ের দাপটে যাঁদের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, প্রশাসনের তরফ থেকে তাঁদের আগামিকাল শুক্রবার যোগাযোগ করা হবে। আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে ভেঙে পড়া গাছ সরিয়ে নেওয়া হবে।

এখনও অবধি বিভিন্ন স্থানে ৩২টি বাঁধ ভাঙার খবর পাওয়া গিয়েছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen