অনামিকা মৃত্যুরহস্য: মদ্যপ ছিলেন কি না জানতে ভিসেরা পরীক্ষা, লালবাজারে জিজ্ঞাসাবাদ যাদবপুরের ১৩ পড়ুয়াকে

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৪:০৮: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী অনামিকা মণ্ডলের রহস্যমৃত্যুর তদন্তে গতি আনতে এগোল লালবাজার (Lalbazar)। ইতিমধ্যেই ১৩ জন পড়ুয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে গোয়েন্দারা। এদের মধ্যে অনামিকার শেষ সময়ে যাঁরা তাঁর সঙ্গী ছিলেন, তাঁদের সঙ্গেও কথা বলা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবারই সাত জন পড়ুয়ার বয়ান নেন তদন্তকারীরা।
গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে দশটার কিছু আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ নম্বর গেটের কাছে ইউনিয়ন রুম লাগোয়া পুকুর থেকে অচৈতন্য অবস্থায় অনামিকাকে উদ্ধার করা হয়। বেলঘরিয়ার নিমতার বাসিন্দা, ইংরেজি অনার্সের তৃতীয় বর্ষের ওই ছাত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। সে রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ড্রামা ক্লাবের অনুষ্ঠান ছিল, সেখানে উপস্থিত ছিলেন অনামিকা। তবে ঘটনার স্থানে কোনও সিসিটিভি না থাকায় সরাসরি ফুটেজ মেলেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট সংলগ্ন তিনটি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ।
লালবাজার সূত্রে খবর, সিসিটিভিতে যাঁরা ধরা পড়েছেন, তাঁদেরও বয়ান রেকর্ড করা হবে। গার্ড ও শিক্ষকদের সঙ্গেও কথা বলবে পুলিশ। এদিকে, বুধবার পুকুর থেকে একটি জুতো উদ্ধার হয়। সেটি অনামিকারই বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছে তদন্তকারীরা। শুক্রবার আদালতে গিয়ে জুতোটির শনাক্তকরণ করবেন অনামিকার বাবা। সেই প্রক্রিয়া ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতেই হবে।
প্রসঙ্গত, অনামিকার বাবা অভিযোগ করেছিলেন, দুর্ঘটনা বা আত্মহত্যা নয়, তাঁর মেয়েকে পুকুরে ফেলে খুন করা হয়েছে। সেই ভিত্তিতেই খুনের মামলা দায়ের করে তদন্তে নেমেছে লালবাজারের হোমিসাইড শাখা।
এদিকে, অনামিকা ঘটনার রাতে মদ্যপ ছিলেন কি না, তা জানতে তাঁর ভিসেরা পরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, ওই রাতে অনামিকা একাই পুকুরের কাছে শৌচাগারের দিকে গিয়েছিলেন। তারপরেই ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনাটি।