মেট্রো পরিষেবায় নৈরাজ্য! স্মারকলিপি দিয়ে প্রতিবাদে জাতীয় বাংলা সম্মেলন

September 20, 2025 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৪.৪৫: বেহাল দশা মেট্রো পরিষেবার, নিত্যদিন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। কলকাতা মেট্রোর এহেন নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ফের পথে নামল জাতীয় বাংলা সম্মেলন। শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর মেট্রো রেল ভবনের সামনে প্রতীকী অবস্থান-বিক্ষোভ করে সংগঠনটি। যাত্রী নিরাপত্তার অভাব, প্রযুক্তিগত ত্রুটি এবং মেট্রো পরিষেবার মান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এ দিন রেল কর্তৃপক্ষকে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়।

প্রতিবাদে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বাংলা সম্মেলনের (Jatiyo Bangla Sammelan) সভাপতি সিদ্ধব্রত দাস, কেন্দ্রীয় সম্পাদক সৈকত পাল, সমাজকর্মী সুশান রায়, মানবাধিকার কর্মী বাসুদেব ঘটক, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুমন ভট্টাচার্য, সংগীতশিল্পী অমিত কালি-সহ একাধিক সহযোদ্ধা।

সংগঠনের অভিযোগ, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) হাত ধরে চালু হওয়া পূর্ব-পশ্চিম মেট্রোর তিনটি নতুন শাখা যাত্রী দুর্ভোগ কমানোর বদলে আরও বাড়িয়েছে। ব্লু লাইন মেট্রোয় (Blue Line Metro) যাত্রীর সংখ্যা বেড়েছে, কিন্তু রেক বাড়েনি। নিয়মিত দেরি, রক্ষণাবেক্ষণের ঘাটতি, ট্রেন বাতিল ও যান্ত্রিক ত্রুটিতে নিত্যদিন সাধারণ মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

তড়িঘড়ি নতুন লাইন উদ্বোধন করে কলকাতার মেট্রো ব্যবস্থা সম্পূর্ণ অচল হয়ে পড়েছে। ভিড়ের চাপে বিশ্বজিৎ পাকড়াশীর মৃত্যুর মতো ঘটনাগুলি মেট্রো পরিষেবার ব্যর্থতার দিকই তুলে ধরে। জাতীয় বাংলা সম্মেলনের সভাপতি সিদ্ধব্রত দাস অন্তত ২০টি নতুন রেকের দাবি জানিয়েছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষের কাছে। পাশাপাশি, প্রতিটি মেট্রো স্টেশনে মেডিক্যাল এমার্জেন্সির জন্য পর্যাপ্ত পরিকাঠামোর দাবি জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, “মেট্রো সময়মতো না এলে তিন ট্রেনের যাত্রী একসঙ্গে চড়ছেন। অতিরিক্ত ভিড়ে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। কখনও চলন্ত ট্রেন ৩০-৪০ মিনিট দাঁড়িয়ে যাচ্ছে, অথচ কোনও ঘোষণা নেই।”

বিগত দিনে দক্ষিণেশ্বর মেট্রোতে একটি খুনের ঘটনা ঘটেছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার অভাবে। জাতীয় বাংলা সম্মেলনের কেন্দ্রীয় সম্পাদক সৈকত পাল (Saikat Paul) মেট্রো অধিকর্তার কাছে মেটাল ডিটেক্টরগুলোর কার্যকারিতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। পুজোর ভিড়ে এরকম অবাঞ্ছিত ঘটনা যাতে পুনরায় না ঘটে, সেজন্য মেট্রোর সুরক্ষায় অতিরিক্ত RPF নিযুক্ত করার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

দুর্গাপুজোর (Durga Puja) সময়ে মেট্রো কলকাতাবাসীর অন্যতম ভরসা। সেই সময়ে মেট্রোর পরিষেবার (Kolkata Metro Service) দুর্বল পরিকাঠামো কীভাবে চাপ সামলাবে, তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংগঠনের সদস্যরা। এদিন মেট্রো কর্তৃপক্ষের কাছে জাতীয় বাংলা সম্মেলনের তিনজন প্রতিনিধি স্মারকলিপি প্রদান করেন।

আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনার পর জানা যায়, নতুন দুটি রেক এসেছে, আরও তিনটি রেক আসবে, তবে পুজোর আগে নয়। জাতীয় বাংলা সম্মেলনের অভিযোগ, রেল কর্তৃপক্ষের পরিকল্পনা অস্পষ্ট, কোনও সুনির্দিষ্ট রূপরেখা এখনও মেলেনি। সিদ্ধব্রত দাস (Siddhabrata Das) জানান, “যতদিন না মেট্রোর চেহারা বদলাচ্ছে, ততদিন আন্দোলন চলবে।”

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen