মধ্যপ্রদেশে ফের বাঘের মৃত্যু, ২০২৫ সালে সংখ্যা বেড়ে ৫৫
ছবি: ফাইল চিত্র
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৫:৪৩: মধ্যপ্রদেশে ফের এক বাঘের মৃত্যু ঘিরে তীব্র উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এই ঘটনায় চলতি বছরে রাজ্যে বাঘ মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫৫-এ—যা ১৯৭৩ সালে ‘প্রজেক্ট টাইগার’ শুরু হওয়ার পর সর্বোচ্চ। সর্বশেষ ঘটনাটি ঘটেছে বুন্দেলখণ্ড অঞ্চলের সাগর জেলায়, যা রাজ্যের বন্যপ্রাণ সুরক্ষা ব্যবস্থার কার্যকারিতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলছে। অথচ সরকারি পরিসংখ্যানে এখনও বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধির সাফল্য তুলে ধরা হচ্ছে।
রবিবার সাগর-ধানা রোডের হিলগাঁও গ্রামের কাছে একটি প্রায় ১০ বছর বয়সি পূর্ণবয়স্ক স্ত্রী বাঘের দেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয় গ্রামবাসীরাই প্রথম দেহটি দেখতে পেয়ে বন দফতরকে খবর দেন। বাঘটি ধানা ফরেস্ট রেঞ্জের অন্তর্গত সাগর সাউথ ফরেস্ট ডিভিশনের এলাকায় পাওয়া যায়। খবর পেয়ে রেঞ্জ ফরেস্ট অফিসার প্রতীক শ্রীবাস্তবের নেতৃত্বে একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে।
প্রাথমিকভাবে দেহে আঘাত বা বিষক্রিয়ার কোনও স্পষ্ট চিহ্ন না মিললেও বনকর্তাদের অনুমান, বেআইনি বৈদ্যুতিক ফাঁদে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বাঘটির মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। ফসল রক্ষার জন্য গ্রামাঞ্চলে বন্য শূকর বা হরিণ ঠেকাতে এই ধরনের ফাঁদ প্রায়শই ব্যবহার করা হয়। পাশাপাশি খতিয়ে দেখা হচ্ছে, বাঘটি ওই এলাকাতেই থাকত নাকি বীরাঙ্গনা দুর্গাবতী বা পান্না টাইগার রিজার্ভ থেকে পথভ্রষ্ট হয়ে এসেছিল।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে নথিভুক্ত ৫৫টি বাঘ মৃত্যুর মধ্যে অন্তত ১১টি ‘অস্বাভাবিক’ হিসেবে চিহ্নিত, যার মধ্যে প্রায় আটটি সরাসরি বিদ্যুৎস্পৃষ্টের সঙ্গে যুক্ত। বন্যপ্রাণ কর্মী অজয় দুবে সোশ্যাল মিডিয়ায় মৃত বাঘের ভিডিও পোস্ট করে প্রশ্ন তুলেছেন—এই মৃত্যুমিছিলের দায় কার?