উত্তাল নেপাল! পথে তরুণ প্রজন্ম, নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে মৃত অন্তত ১৪, জখম ৮০

বিক্ষোভকারীদের সরাতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। কাঠমান্ডুতে কারফিউ জারি করেছে প্রশাসন। বিক্ষোভ সামাল দিতে নেমেছে সেনা।

September 8, 2025 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৫:২১: নেপালের (Nepal) কেপি শর্মা ওলি সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে পথে নামল তরুণ প্রজন্ম। সম্প্রতি ফেসবুক, ইউটিউব, এক্স সহ প্রায় সব ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া নিষিদ্ধ হয়েছে সেদেশে। প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছে নেপালের তরুণ প্রজন্ম। কেপি শর্মা ওলি সরকারের বিরুদ্ধে পথে নেমে প্রতিবাদ দেখাচ্ছে তাঁরা। একদল উত্তেজিত জনতা সংসদ ভবনের ভিতরে ঢুকে পড়েছে। বিক্ষোভকারীদের সরাতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। কাঠমান্ডুতে কারফিউ জারি করেছে প্রশাসন। বিক্ষোভ সামাল দিতে নেমেছে সেনা। নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে ৩ প্রতিবাদীর। আহত ৮০ জন।

গত ৪ সেপ্টেম্বর ফেসবুক, ইউটিউব, এক্স সহ প্রায় ২৬টি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম নেপালে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়। যাতে ক্ষিপ্ত হয়েছেন নেপালের তরুণ-তরুণীরা। সোমবার হাজার হাজার প্রতিবাদী কাঠমান্ডুর রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখাচ্ছে। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে সংসদ ভবন সহ বহু প্রশাসনিক এলাকায় ঢুকে পড়েন প্রতিবাদী তরুণরা। তারপর পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। আন্দোলন রুখতে রাজধানীতে কারফিউ জারি করে সেনা নামানো হয়। বিক্ষোভকারীদের ঠেকাতে জলকামান ব্যবহার করা হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পুলিশের গুলিতে ৩ বিক্ষোভকারীরর মৃত্যু হয়েছে।

নেপালের সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, দেশীয় ও বিদেশি অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলিকে আগে সরকারের সঙ্গে নথিবদ্ধ হতে হবে। ‘অবাঞ্ছিত’ কনটেন্টে নজরদারি চালাতে চায় নেপাল সরকার, তাই নথিবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন। উল্লেখ্য, ২০২০ সাল থেকে নেপালে সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে বার বার অভিযোগ উঠেছে। যদিও বিরোধী দলগুলির অভিযোগ, সরকারের সোশ্যাল মিডিয়া নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের পিছনে রয়েছে অন্য উদ্দেশ। বিরোধীরা যাতে কোনওভাবেই সমাজ মাধ্যমকে ব্যবহার করে প্রতিবাদ না-জানাতে পারে তা নিশ্চিত করতে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। নাগরিকদের মৌলিক অধিকার ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করার চেষ্টার অভিযোগ আনছেন বিরোধীরা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen