SIR ঘোষণা হতেই বাংলা ছেড়ে পালাচ্ছে বাংলাদেশিরা? জানুন ভাইরাল ভিডিওর সত্যতা

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২০:৩২: রাজ্যে SIR আবহে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ও কয়েকটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। যাকে কেন্দ্র করে নদীয়া জেলায় উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, সীমান্ত সংলগ্ন একটি এলাকা দিয়ে বহু মানুষ নদীর ঘাটের দিকে হাঁটছেন। কেউ কেউ দাবি করেন, ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় পুনর্বিবেচনা বা SIR অভিযানের কারণে অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীরা নাকি গণহারে পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে পালাচ্ছেন। এই দাবিই মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে পড়ে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে।
তবে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ (West Bengal Police) পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে, এই দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। পুলিশের সরকারি এক্স (টুইটার) হ্যান্ডেল থেকে জানানো হয়েছে যে ভিডিওটি আসলে নদিয়া জেলার মুরুটিয়া থানার অন্তর্গত ফুকটলা গ্রামের শ্যামা বা কালীমূর্তি বিসর্জনের দৃশ্য। সীমান্তের খুব কাছে অবস্থিত এই গ্রামে প্রতিবছর পূজার পর বিসর্জনের জন্য ভক্তরা বড় শোভাযাত্রা করে নদীর ঘাটে যান। পুলিশ বলেছে, সেই শোভাযাত্রার ভিডিওকেই বিকৃত দাবি জুড়ে ছড়ানো হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর।
A video/pic of immersion of Idol/Image of goddess Shyama/Kali of Village-Phunkotala (located near Bangladesh Border), PS- Murutia, District -Nadia, West Bengal in Mathabhanga river is being circulated as illegal immigrants leaving the state en masse due to SIR. This is FAKE and… pic.twitter.com/8gLm8SXn0v
— West Bengal Police (@WBPolice) November 25, 2025
তথ্য যাচাইয়ে জানা গেছে, ভিডিওটি ধারণ করা হয়েছিল ৩০ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে, অর্থাৎ SIR অভিযান শুরু হওয়ার কয়েক দিন আগে। ভিডিওতে উপস্থিত মানুষের আচরণ ও পরিবেশও উৎসবমুখর। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে কোনও ব্যক্তির কাছেই যাত্রীসামগ্রী বা ব্যাগপত্র নেই, যা পালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রত্যাশিত। স্থানীয় প্রশাসনও নিশ্চিত করেছে যে এটি বহু বছর ধরে প্রচলিত পূজা-পরবর্তী ঐতিহ্যবাহী বিসর্জন শোভাযাত্রা ছাড়া অন্য কিছু নয়।
পুলিশের মতে, অবৈধ অভিবাসী প্রসঙ্গ জুড়ে এই ভিডিও ছড়ানো জনমনে ভুল ধারণা সৃষ্টি করছে এবং সীমান্ত অঞ্চলে অযথা উত্তেজনা বাড়াতে পারে। পুলিশ জনসাধারণকে সতর্ক করে জানিয়েছে, যাচাই-বাছাই না করে এমন ভুয়ো ভিডিও বা উসকানিমূলক বার্তা শেয়ার না করার জন্য। ভুল তথ্য ছড়ানো রোধে প্রয়োজন হলে স্থানীয় থানার সঙ্গে যোগাযোগ করার অনুরোধও জানানো হয়েছে।