“অরুণাচল ভারতের নয়”—চীনা ইমিগ্রেশনের মন্তব্যে বড় বিতর্ক, শাংহাইয়ে হয়রানির শিকার ভারতীয় তরুণী

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৫:০৫: অরুণাচল প্রদেশকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করা নিয়ে বরাবরই ভারতের সঙ্গে সংঘাতে থেকেছে চিন। সেই বিতর্ককেই এবার হাতিয়ার করল সাংহাইয়ের পুদং বিমানবন্দরের কর্তারা। অভিযোগ, একজন ভারতীয় তরুণীকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা হেনস্তা করা হয়েছে শুধুমাত্র তাঁর পাসপোর্টে ‘অরুণাচল প্রদেশ’ লেখা থাকার জন্য।
ব্রিটেনে বসবাসকারী ভারতীয় নাগরিক পেমা ওয়াংজাম থংডোক লন্ডন থেকে জাপানের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন। পথে তিন ঘণ্টার ট্রানজিট ছিল সাংহাইয়ে। সেই সময়েই শুরু হয় তাঁর দুর্ভোগ। অভিবাসন ডেস্কে তাঁকে জানানো হয়— তাঁর ভারতীয় পাসপোর্ট ‘অবৈধ’, কারণ জন্মস্থান হিসাবে অরুণাচল প্রদেশ উল্লেখ রয়েছে। বেজিংয়ের দাবি, অরুণাচল প্রদেশ নাকি চিনের অংশ, ফলে সেই পাসপোর্টও নাকি গ্রহণযোগ্য নয়!
পেমার অভিযোগ, তাঁর পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করা হয় এবং প্রায় ১৮ ঘণ্টা ধরে তাঁকে বিমানবন্দরে আটকে রাখা হয়। চলাফেরা করা তো দূরের কথা, খাবার কিংবা জলও দেওয়া হয়নি তাঁকে। জাপানে যাওয়ার বিমানে উঠতে দেওয়া হয়নি, এমনকি সাংহাই থেকে অন্য কোথাও যাওয়ার টিকিট কাটার সুযোগও পাননি তিনি।
শেষপর্যন্ত কোনওমতে সাংহাইয়ের ভারতীয় কনসুলেটের সঙ্গে যোগাযোগ করে দেশে ফেরেন পেমা। পরে নিজের তিক্ত অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-সহ একাধিক কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। পেমার দাবি— এই ঘটনায় জবাবদিহি চাওয়া উচিত চিনের প্রশাসনের কাছে এবং দোষী অভিবাসন আধিকারিকদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হোক।
ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরও ভারত সরকারের তরফে কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। অরুণাচল নিয়ে পুরোনো বিরোধের মধ্যেই ভারতের নাগরিকদের এভাবে হেনস্তা করা নতুন উদ্বেগ তৈরি করছে।