যতদিন তৃণমূল সরকার থাকবে প্রতিমাসে মিলবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, পাথরপ্রতিমায় গ্যারান্টি অভিষেকের

দক্ষিণ ২৪ পরগণার মাটি থেকেই পরিবর্তনের ডাক এসেছিল প্রথম, ২০০৮ তৈরি হয়েছিল জেলা পরিষদ।

April 30, 2024 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi
পাথরপ্রতিমায় গ্যারান্টি অভিষেকের

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: একের পর এক জেলা, উত্তর থেকে দক্ষিণ চষে ফেলছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। আজ পাথরপ্রতিমায় দলীয় প্রার্থী বাপি হালদারের (Bapi Halder) সমর্থনে সভা করেন তিনি। তীব্র দাবদাহেও উপচে পড়া ভিড় দেখে অভিষেক বলেন, ‘আজকের সভা কুলপির সভাকেও ছাপিয়ে গেছে। দক্ষিণ ২৪ পরগণার মাটি থেকেই পরিবর্তনের ডাক এসেছিল প্রথম, ২০০৮ তৈরি হয়েছিল জেলা পরিষদ। ২০১১, ২০১৬, ২০২১ তিনবারই তৃণমূল সরকার তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল দক্ষিণ ২৪ পরগণা। আমি যত দিন বেঁচে থাকব এই মাটির কাছে কৃতজ্ঞ থাকব। এ জেলায় লড়াই তৃণমূলকে (TMC) জেতানো বা বিজেপিকে হারিয়ে শিক্ষা দেওয়ার নয়, চারটি আসনের মধ্যে লড়াই, কে আগে জিতবে, কে প্রথম হবে! ২০১৪, ২০১৯ সালের ব্যবধান ছাপিয়ে যেতে হবে মথুরাপুরকে।’

বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে অভিষেক বলেন, “ভোটের পর যে বহিরাগতদের টিকি খুঁজে পাননি। তাঁদের একটিও ভোট দেবেন না। যাঁরা মানুষের খোঁজ নেয় না। এই নির্বাচন তাদের জবাব দেওয়া নির্বাচন। অত্যাচারি, শোষণকারীদের জবাব দেওয়ার নির্বাচন। বাংলার মানুষকে বঞ্চিত, লাঞ্চিত করা রাখা বিজেপিকে একটি ভোটও দেবেন না। একুশের আগে অমিত শাহ বলেছিল, সুন্দরবনের উন্নয়নে দু’লক্ষ কোটি টাকা দেব। তারপর হেরে যাওয়ার পর এই বহিরাগত, বাইরে থেকে আসা পরিযায়ী, বসন্তের কোকিল টিকিও খুঁজে পাননি।”

বিজেপিকে ভোট দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের সময় যখন পাথরপ্রতিমা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, তখন বিজেপি নেতাদের এখানকার মানুষ দেখতে পায়নি। তখন ঘূর্ণিঝড় বিধবস্ত এলাকায় মানুষের পাশে ছিল তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এসে মানুষের হাতে ত্রাণ তুলে দিয়ে গেছে। যাঁরা দুঃখে থাকে না, বিপদে থাকে না, খোঁজ খবর নেয় না, আপনার পরিবার দু’বেলা খেয়েছে কিনা খবর নেয় না, রাস্তা হল কিনা, স্কুলটা হয়েছি কিনা, মাথার উপর ছাদ আছে কিনা, একবার জিজ্ঞাসা করে না, তাদের একটি ভোটও দেবেন না।” পাশাপাশি মোদী সরকারের বিরুদ্ধেও তোপ দাগেন অভিষেক, “১০০ দিনের টাকা আটকে রেখেছে। দিল্লিতে অবস্থান বিক্ষোভ করেছি। নব জোয়ারের সময় মায়েরা বলেছিলেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বাড়াতে। বাড়ানো হয়েছে। আর প্রধানমন্ত্রী মানুষ জনকে লাইনে দাঁড় করিয়েছে, কালো টাকা উদ্ধারের জন্য।”

পরিসংখ্যান তুলে ধরে অভিষেক বলেন, ৬,৫৪,৯৪৫ জন গরিব শ্রমিকের একশো দিনের টাকা আটকে রেখেছিল মোদী সরকার। ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলার তৃণমূল সরকার ৩৫২ কোটি টাকা খরচ করে গরিব মানুষের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগণায় প্রায় ২০ লক্ষ ৪৯ হাজার মা-বোনেদের ২,৯৬৯ কোটি টাকা খরচ করে সরকার লক্ষ্মীর ভান্ডার দিচ্ছে। প্রায় ২৮ লক্ষ মেয়েদের কন্যাশ্রী-তে আর্থিক সাহায্য করেছে মা-মাটি-মানুষ সরকার।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen