ধর্ষণে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসারাম বাপুকে ৬ মাসের অন্তর্বর্তী জামিন, বিতর্কে মোদীর রাজ্যের হাই কোর্ট

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২১:৪৬: ২০১৩ সালের ধর্ষণের মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত স্বঘোষিত ধর্মগুরু আসারাম বাপু (Asaram Bapu)। এবার তাঁকে ৬ মাসের অন্তর্বর্তী জামিন দিল মোদীর রাজ্য গুজরাট হাই কোর্ট (Gujarat High Court)। তাঁর শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা করেই এই জামিন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে আদালত। এর আগেবিজেপি শাসিত রাজস্থানের হাই কোর্টও একই কারণে তাঁকে জামিন দিয়েছিল।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি ইলেশ জে ভোরা এবং বিচারপতি আর টি ভাছানির বেঞ্চ জানায়, মেডিক্যাল রিপোর্টের ভিত্তিতে জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে। তবে আদালত স্পষ্ট করেছে, আসারামের যাবজ্জীবনের সাজা বহাল থাকবে এবং তা বলবৎ থাকবে।
আসারামের আইনজীবী, সিনিয়র অ্যাডভোকেট দেবদত্ত কামাত আদালতে জানান, তাঁর মক্কেল হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, হাইপোথাইরয়েডিজম, রক্তাল্পতা এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যায় ভুগছেন। এই ধরনের চিকিৎসা জেলে পাওয়া সম্ভব নয়। সেপ্টেম্বরে তাঁকে চিকিৎসার জন্য দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলেও জানান তিনি।
২০১৩ সালে যোধপুরের আশ্রমে ১৬ বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে আসারামের বিরুদ্ধে। ওই বছরের আগস্টে ইন্দোর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে যোধপুরের একটি আদালত তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে আমৃত্যু কারাবাসের সাজা দেয়।
মামলায় আসারামের স্ত্রী লক্ষ্মী, ছেলে নারায়ণ সাঁই, মেয়ে ভারতী এবং চার শিষ্যা- ধ্রুববেন, নির্মলা, জাসসি ও মীরা অভিযুক্ত ছিলেন। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয়, যার মধ্যে রয়েছে ৩৪২, ৩৫৪এ, ৩৭০(৪), ৩৭৬, ৫০৬ ও ১২০বি।
সরকারি আইনজীবীর তরফে জামিনের বিরোধিতা করে জানানো হয়, যদি চিকিৎসাই উদ্দেশ্য হয়, তাহলে যোধপুর জেল থেকে তাঁকে সাবরমতী জেলে স্থানান্তর করা যেতে পারে, যেখানে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। তাঁদের দাবি, আসারামের শারীরিক অবস্থা মোটেই গুরুতর নয়।
তবু সব দিক বিবেচনা করে গুজরাট হাই কোর্ট (Gujarat High Court) জানিয়ে দেয়, ৬ মাসের জন্য অন্তর্বর্তী জামিন (Interim bail) দেওয়া হল আসারাম বাপুকে। তবে এই জামিনের মেয়াদ শেষে তাঁকে ফের আদালতে হাজির হতে হবে এবং সাজা বহাল থাকবে।