ইন্টিগ্রেটেড টেক্সটাইল পার্ক পেয়ে খুশি অশোকনগর-হাবড়া

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের মেটিয়াবুরুজ সহ বিভিন্ন এলাকায় পোশাক, জামাকাপড় তৈরি করা হয়।

February 9, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

সোমবার অশোকনগর(Ashoknagar) ও হাবড়ায়(Habra) ইন্টিগ্রেটেড টেক্সটাইল পার্কের (Integrated Textile Park) ভার্চুয়াল উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। এই দু’টি মেগা পাওয়ারলুম পার্কে আগামী দিনে প্রায় ১৫ হাজার কর্মসংস্থান হবে। বিনিয়োগ হবে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা। এদিন হাবড়ার বাণীপুরে পৃথক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক(Jyotipriyo Mallick) ছাড়াও জেলা শিল্প আধিকারিক সমিত চট্টোপাধ্যায়, হাবড়া‑১ এর বিডিও জয়ন্ত দে সহ অন্য প্রশাসনিক আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। টেক্সটাইল পার্ক দু’টির উদ্বোধন হওয়ায় এলাকায় খুশির হাওয়া ছড়িয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের মেটিয়াবুরুজ সহ বিভিন্ন এলাকায় পোশাক, জামাকাপড় তৈরি করা হয়। এই কাজে শুধুমাত্র মেটিয়াবুরুজে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার আর্থিক লেনদেন হয়। কিন্তু এই জামাকাপড় তৈরির থান কাপড় বা টেক্সটাইল আসে গুজরাত সহ বিভিন্ন রাজ্য থেকে। আমাদের রাজ্যে এই উৎপাদন সেই অর্থে হতো না। এবার অশোকনগর ও হাবড়ায় টেক্সটাইল পার্ক তৈরি হওয়ায় এখান থেকে কাপড় কিনতে পারবেন কারিগররা। শুধুমাত্র সুতো আনতে হবে ভিনরাজ্য থেকে। এই ইন্টিগ্রেটেড টেক্সটাইল পার্ক (মেগা পাওয়ারলুম) অশোকনগর ও বাণীপুরে মোট ৫০ একর জমির উপর তৈরি করা হয়েছে। অশোকনগর কল্যাণগড় পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে কল্যাণী স্পিনিং মিলের জায়গায় এই পার্কের প্রথম প্ল্যান্ট তৈরি হচ্ছে। হাবড়া পুরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাণীপুর হোমের পাশের জায়গায় দ্বিতীয় প্ল্যান্ট তৈরি হচ্ছে। প্রথম দফায় এই দুই পার্কে ৫৪টি পাওয়ারলুম ক্লাস্টার ছাড়াও তিনটি সরকারি ও পাঁচটি বেসরকারি মিলিয়ে মোট আটটি কমন ফেসিলিটি সেন্টার তৈরি হবে। এই দু’টি পার্ক তৈরিতে খরচ হবে প্রায় ৬০ কোটি টাকা। সরকারের তরফে তিনটি কমন ফেসিলিটি সেন্টার তৈরির কাজ শুরু করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া দুটি পার্কে রাস্তা, ড্রেন, মাটির ভিতর দিয়ে ড্রেনেজ নেটওয়ার্ক, সর্বত্র জল পাঠানোর ব্যবস্থা, গভীর নলকূপ, সীমানা প্রাচীর, গেট, প্রশাসনিক ভবন, আগুন নিরোধক ব্যবস্থা, ইলেকট্রিক ও আলোর পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকবে। সম্ভাব্য বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ৪০০ কোটি টাকা। এই দুই প্ল্যান্টের কমন ফেসিলিটি সেন্টারে প্রত্যেক বছর ৩০০ মিলিয়ন স্কোয়্যার মিটার ফেব্রিক তৈরি হবে। এছাড়া কাপড় শুকানো, প্রিন্টিং ও ফিনিশিংয়ের পৃথক জায়গা থাকবে এই প্ল্যান্টে। প্রত্যেকটি পাওয়ারলুম ক্লাস্টারকে ২০ কাঠা করে জায়গা দেবে রাজ্য সরকার। আধিকারিকদের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে এই ধরণের টেক্সটাইল পার্ক আগে কোথাও হয়নি। নতুন পার্ক তৈরি হওয়ায় এ রাজ্যের বস্ত্রশিল্পে জোয়ার আসার সম্ভাবনা প্রবল। 

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen